সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজাররের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের সিক্কা গ্রাম থেকে ভেজাল চ-পাতা তৈরীর কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। একটি বাড়িতে তিন চা-কারবারি ভেজাল মিস্ত্রিত চা তৈরী করে বাজারে বিক্রি ও মজুদ করে আসছিল। পুলিশের অভিযানে কারখানা থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল চা-পাতা উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানা মালিক পালিয়ে যায়।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল সিন্দুরখান ইউনিয়নের সিক্কা গ্রামের বারেক মিয়ার দুই পুত্র আঃ রহিম মিয়া ও আব্দুর নুর মিয়া একি বাড়ির আব্দুল মজিদ মিয়া এই তিন জন মিলে তাদের বাড়িতে ভেজাল চা-পাতা তৈরী করছে এবং বিপুল পরিমানে পাতা মজুত করার খবর পায় পুলিশ। এমন খবরের ভিত্তিতে বুধবার (১০ মার্চ) রাতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া’র নির্দেশে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই চা-পাতা উদ্ধার করা হয়।
এসময় শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির ও পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুনসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভেজাল চা কারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ভেজালকারী আব্দুর রহিম এর ঘর তল্লাশী করে ৪০ বস্তা গ্রীন টি এর গুড়া মিশ্রিত চা পাতা ও নুর মিয়ার ঘর থেকে ৩৫ বস্তা গ্রীণ টি এর গুড়া মিশ্রিত চা পাতা ও আসামী আব্দুল মজিদ মিয়ার ঘর তল্লাশী করে ১২ বস্তা বালু মিশ্রিত ডাস্ট এবং সিডা’র মাধ্যমে তৈরীকৃত চা-পাতা উদ্ধার করে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ভেজালকারীরা শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগান থেকে চা-পাতা ও অন্যান্য গাছের পাতা সংগ্রহ করে তাদের নিজেদের প্রযুক্তির মাধ্যমে শুকিয়ে ডেকি/অন্যান্য যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অভিনব কায়দায় গুড়া করে কেমিক্যাল জাতীয় অন্যান্য দ্রব্যাদি মিশ্রন করে ভেজাল চা-পাতা প্রস্তুত করে বিক্রয়ের উদ্দেশে মজুদ রাখে।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। আটককৃত মালামাল জব্দ করে শ্রীমঙ্গল থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।