শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বাহুবলে হত্যাকান্ডের শিকার মা-মেয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাহুবলে মা ও শিশুকন্যা খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে অনেক দূর এগিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে যে কোন মুহূর্তে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পরই এ জোড়াখুনের ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে ওই বিল্ডিংয়ের ২য় তলার ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় দ্বিগাম্বর বাজারের কাঁচামাল আড়তের শ্রমিক আমির আলীর দিকেই আঙ্গুল উঠছে। তবে, পুলিশ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শুক্রবার সন্ধ্যা) এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে রাজি হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের দ্বিগাম্বর বাজারের একটি তিনতলা ভবন থেকে ভাড়াটিয়া সঞ্জিত দাশের স্ত্রী অঞ্জলী মালাকার (৩৫) ও তার কন্যা পূজা দাশ (৯) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত অঞ্জলীর স্বামী সঞ্জিত দাশ স্থানীয় দ্বিগাম্বর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী। তিনি স্ত্রী-কন্যা নিয়ে ওই ভবনের ৩য় তলায় বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি একই ইউনিয়নের লামাপুটিজুরী। তার কন্যা নিহত পূজা দাশ স্থানীয় কালিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন তারা মিয়া ও স্থানীয় দ্বিগাম্বর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, উক্ত তিনতলা ভবনের ৩য় তলায় স্ত্রী-কন্যা নিয়ে সবজি ব্যবসায়ী সঞ্জিত দাশ এবং ২য় তলায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন সবজি আড়তের শ্রমিক সিলেটের বাসিন্দা আমির আলী (৩৫)। ৩য় তলার বাসিন্দা সঞ্জিত দাশ গত বুধবার (১৭ মার্চ) সবজি আনতে সুনামগঞ্জ গিয়েছিলেন। অপরদিকে, ২য় তলার বাসিন্দা আমির আলীর স্ত্রী-সন্তানও ২/৩ দিন আগে অন্যত্র বেড়াতে গিয়েছে। এ অবস্থায় ঘটনার রাত অর্থাৎ বুধবার দিবাগত রাতে ওই ভবনের ৩য় তলায় নিহত অঞ্জলী মালাকার ও তার কন্যা পূজা দাশ এবং ২য় তলায় আমির আলী ছাড়া কেউ ছিলেন না।

রিপন আহমেদ নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ওই ভবনের নিকটবর্তী ক্ষেতে ২য় তলার বাসিন্দা আমির আলীকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে পাঠাই। এর কিছুক্ষণ পর ৩য় তলার বাসিন্দা সঞ্জিত দাশের কাছ থেকে জানতে পারি কে বা করা তার স্ত্রী-কন্যাকে গলা কেটে হত্যা করেছে।

জোড়া খুনের ঘটনার পরদিন আজ শুক্রবার স্থানীয় দ্বিগাম্বর বাজার ও আশপাশের এলাকা ছিল শুনশান নিরব। লোকজনের আনাগুণা ছিল তুলনামূলক কম। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক অনেকেই। চা-দোকান বা অন্য আড্ডার মূল বিষয় জোড়া খুন। কিন্তু এ বিষয়ে মন্তব্য করতে সবাই একটু সাবধানী হলেও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে সবাই রয়েছেন সোচ্ছার।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com