সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৮৬৮ জনের শরীরে।
সবমিলিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৬৬৮ জনে। আর মোট শনাক্ত হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৬ জন।
শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ২১৯টি ল্যাবরেটরিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৯০০টি নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ৮৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ১১ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৫৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে সুস্থ রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ২০ হাজার ৭১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও সাতজন নারী। মারা যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন। এছাড়া ৫১-৬০ বছরের নয়জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে চারজন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে চারজন, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে গত চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।