বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
শনিবার (৩ এপ্রিল) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন, সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার।
পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, দ্রুত বেড়ে যাওয়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সোমবার থেকে সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিতে যাচ্ছে সরকার। লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারি বেসরকারি-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শিল্পকারখানা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের চলাফেরা যাতে কমাতে পারি সেজন্য আমরা আপাতত এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিচ্ছি। আমাদের জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, ফায়ার সার্ভিসের অফিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অফিস, সংবাদপত্র অফিস- এই ধরনের অফিস খোলা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলা থাকবে, সেখানে একাধিক শিফট করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে শ্রমিকরা কাজ করেন- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে তো আবার গত বছরের মতো শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়ার ঢল শুরু হয়ে যাবে।’
‘এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। সব ধরনের মার্কেট বন্ধ থাকবে।’
গণপরিবহন বন্ধ থাকবে কিনা- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা যখন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করব সেখানে তা স্পষ্ট করে বলা হবে। এখনই এ বিষয়ে বলছি না।’
গত বছরের মার্চে দেশে প্রথমবার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর বেশ কিছু দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সেই ছুটির পর ধাপে ধাপে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয় দেশে। ওই বছরের শেষদিকে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমতে থাকলেও এ বছরের মার্চের শেষদিক থেকেই তা হুট করে বাড়তে থাকে।
গত ক’দিনে সংক্রমণ শনাক্তে আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মৃত্যুও হচ্ছে অর্ধশতসংখ্যক। গত শুক্রবারই (২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু হয়েছে নয় হাজার ১৫৫ জনের। সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ছয় হাজার ৮৩০ জনের মধ্যে। যা এ পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জনে।