শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী জুলাইয়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে করোনাভাইরাসের ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। এর মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, ভিয়েতনামসহ পাঁচটি দেশ অগ্রাধিকার পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকার বৈশ্বিক টিকা বণ্টনের যে পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন তা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার তিনি এ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা এএফপি।
বিশ্বজুড়ে আট কোটি ডোজ টিকা বণ্টন করবে আমেরিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় এসব টিকার ৭৫ শতাংশ বণ্টন করা হবে।
এর আগে বাইডেন ছয় কোটি ডোজ টিকা রপ্তানি করার কথা বলেছিলেন। তা বাড়িয়ে আট কোটি ডোজ করা হলো।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, আড়াই কোটি ডোজ টিকার মধ্যে ‘কোভ্যাক্স’ পাবে এক কোটি ৯০ লাখ ডোজ। এর মধ্যে আনুমানিক ৬০ লাখ ডোজ পাবে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল। এছাড়া ৭০ লাখ পাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচ দেশ বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, আফগানিস্তান ও ভিয়েতনাম অগ্রাধিকার পাবে। আর ৫০ লাখ ডোজ পাবে আফ্রিকার দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্র বাকি ৬০ লাখ ডোজ টিকা প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডা, ঘনিষ্ট মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা, ইরাক, ইয়েমেন, জর্ডান, মিসর, ইউক্রেন, কসোভো, হাইতি ও জর্জিয়া ছাড়াও করোনা মোকাবিলায় জাতিসংঘের সম্মুখসারির কর্মীদের মধ্যে সরবরাহ করবে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় হোয়াইট হাউসের সমন্বয়ক জেফ জিয়েন্টস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রথম চালানে আড়াই কোটি ডোজ টিকা রপ্তানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জুনের শেষ নাগাদ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আট কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করা হবে।’
জানা গেছে, প্রথম চালানে জনজন অ্যান্ড জনসন, মডার্না এবং ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকা থাকবে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের মজুতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা থাকলেও তা এখনো অনুমোদন পায়নি। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড নামক টিকা দিয়েই বাংলাদেশে করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা এসব টিকা বণ্টন করছি জীবন বাঁচাতে এবং এই মহামারির ইতি টানতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বাইডেনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার।