বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে ঈদ পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগামী ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন আবার শুরু হবে।
কর্মহীন মানুষের জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ও ঈদে মানুষের গ্রামে যাতায়াতের সুবিধার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।
ঈদুল ফিতরে লকডাউন শিথিল না করার পরও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ে। আসছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়ার চিন্তা চলছে।
একই সঙ্গে শপিংমল, দোকানপাটসহ সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে।
কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় ও অফিস-আদালতের কার্যক্রম অনলাইনে চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংশ্নিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, চলমান বিধিনিষেধ ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল হতে পারে। এর ফলে গত ঈদের মতো চলাচলে এবার সমস্যা হবে না। এরপর ২৩ জুলাই থেকে লকডাউন আবারও কঠোর করা হবে।
কীভাবে শিথিল হবে, এটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। তখন বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর লকডাউন রয়েছে। এরপর ১৫ জুলাই থেকে বাস-লঞ্চ-ট্রেন, অভ্যন্তরীণ বিমান ও গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে। আগের মতো এক সিট ফাঁকা রেখে চলাচল করতে পারবে যানবাহন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল-দোকানপাটও খোলা রাখা যাবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ঈদের সময় মানুষ সরকারের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তায় চলাচল করবে। এতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে; বরং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের যানবাহন খুলে দেয়া উচিত।
দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, আশা করছি, গত ঈদের মতো এবারও দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেবে সরকার। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগও করা হচ্ছে।
দেশের বর্তমান এ পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম হিসেবে সব জরুরি অফিস ও সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে। সব সরকারি অফিসের দাপ্তরিক কাজগুলো ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যমে) সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।