শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: টিকা বিতরণের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে ১৭ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার দিচ্ছে চীন। এই টিকা নিয়ে মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট বেইজিং বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। কোভ্যাক্সের আওতায় দেওয়া এটিই চীনের প্রথম উপহারের চালান।
ঢাকায় চীনের উপরাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান তাঁর ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান।
এর আগে গত ১২ মে প্রথমবার সিনোফার্মের তৈরি ৫ লাখ টিকা উপহার হিসাবে বাংলাদেশে পাঠায় চীন। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ১৩ জুন আরও ছয় লাখ উপহারের টিকা আসে। সব মিলিয়ে ১১ লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে চীন। এসব কোভ্যাক্সের আওতায় নয়, সরাসরি দেওয়া হয়েছে। আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেবে দেশটি।
কোভ্যাক্সের আওতায় এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে মডার্নার এবং জাপান অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠিয়েছে। আর কোভ্যাক্স সরাসরি পাঠিয়েছে ফাইজারের টিকা।
বাংলাদেশের টিকা প্রাপ্তি বিষয়ে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশে আরও ৫৪ লাখ টিকা আসবে। মন্ত্রী বলেন, কোভ্যাক্স থেকে আরও ৩৪ লাখ এবং চীন থেকে কেনা ১০ লাখ টিকা ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশে পৌঁছাবে। এ ছাড়া আরও ১০ লাখ টিকা চীন উপহার হিসেবে দেবে। মোট ৫৪ লাখ টিকা আসবে। এ ছাড়া চীন থেকে কেনা আরও ৫০ লাখ টিকা চলতি মাসে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চীন থেকে সিনোফার্মের সাড়ে সাত কোটি ডোজ টিকা আসবে। তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের দেড় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয়েছে। এরই মধ্যে তারা টিকা পাঠানোও শুরু করেছে। আমরা চীন থেকে আরও ছয় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি করব।’
একই দিন (শনিবার) স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ছয় কোটি ডোজ টিকার মধ্যে দুই কোটি ডোজ করে আগামী অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে চার কোটি ডোজ আসবে। এর আগেও আসবে, তবে কিছুটা কম করে। আগস্টে কিছুটা কম টিকা আসবে।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশের ১ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬২ জন মানুষ করোনার টিকার আওতায় এসেছে। এদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৬৩০ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৭ লাখ ৩২ হাজার ৮৩২ জন।
এছাড়া, গতকাল পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন দেশের ১ কোটি ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৮ জন মানুষ। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ৬৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫ জন। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৭২ হাজার ৪০৭ জন। আর মডার্নার টিকা নিয়েছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ৪০১ জন।