শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আল জাজিরা, বিবিসি, ইন্ডিপিন্ডেন্ট সহ আন্তর্জাতিক সব সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তালেবান বলছে, এই বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু সহ কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছে। বহু তালেবান গার্ড আহত হয়েছে। এর আগে পশ্চিমা দেশগুলো সতর্ক করে দিয়েছিল যে, কাবুল বিমানবন্দরে হামলা হতে পারে।
জানা গেছে, আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর বিমানবন্দরে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে আরম্ভ করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। বিমানবন্দর চত্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ঘিরে থাকা যে এলাকায় আফগানিস্তান ছাড়তে চেয়ে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ, সেথানেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে খবর মিলেছে।
সূত্রের খবর, ইতালির উদ্ধারকারী বিমান লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি টুইটে জানিয়েছেন বিস্ফোরণের কথা।
আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের নাগরিক ও সেনাদের সরিয়ে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সময় অল্প থাকায় তারা নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজ তৎপরতা বাড়িয়েছে। আফগানিস্তান ছাড়তে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে হাজির হচ্ছে।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। গত ১১ দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আফগানিস্তান থেকে ৮৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভ্যাকুয়েশন বা স্থানান্তর বলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বলছে, প্রতি ৩৯ মিনিটে একটি বিমান উড্ডয়ন করছে।
তালেবান ক্ষমতায় আসায় হাজার হাজার আফগান দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তালেবান যোদ্ধারা বিমানবন্দর এলাকা পাহারা দিচ্ছে। আল জাজিরা বলছে, এখনও কাবুলে ১৫০০ জন যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী রয়েছেন। তারা কাবুল ত্যাগ করার অপেক্ষায় আছেন।