সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : আগামী ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে। এ নিয়ে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষা প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষকেদের মাঝে প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী এক জরুরি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মোহাম্মদ রুহুলাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, সিলেট অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মোঃ আব্দুল মান্নান খান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর আহাম্মদ। ভার্চুয়াল সভায় জেলার সকল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ICT4E জেলা অ্যাম্বাসেডররা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবেশ মূখসহ অন্যান্য স্থানে কোভিড-১৯ অভিমারি সম্পর্কিত সচেতনতামূলক ব্যানার টানানো ও সাবান-হ্যান্ডওয়াশ রাখা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে শিক্ষক-ছাত্র-ছাত্রীদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে তাপমাত্রা মাপ ও পর্যবেক্ষণ, শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানো, প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ স্থাপন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল ওয়াশরুম নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, শিক্ষক-ছাত্র-ছাত্রী সকলের মাঝে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করাসহ সরকার নির্দেশিত ১৯টি নির্দেশনা পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়াও দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার এই আনন্দময় মূহুর্তে শিক্ষকদের পাশাপাশি ম্যানেজিং কমিটি এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করার আহবান জানানোর পরামর্শও প্রদান করেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় উপস্থিত ICT4E জেলা অ্যাম্বাসেডর শিক্ষক পংকজ কান্তি গোপ বলেন, ‘সরকার শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ১৯টি গাইড লাইন প্রদান করেছেন। আমরা সেই গাইড লাইন মোতাবেক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান সাজাচ্ছি। সভায় স্বাস্থ্য সচেতনতার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রত্যেককে মাস্ক, সাবান ও হ্যাণ্ডওয়াশ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’
জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রুহুল্লাহ বলেন, “সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা দিনরাত কাজ করছি। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ পর্যায়ক্রমে সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিটরিং করছে। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১২ তারিখের জন্যে প্রস্তুত।” উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে।