রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১৪৭ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৯০৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ১১০ জনে। মৃত ৩৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন ও নারী ২৫ জন।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯১৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ১৬৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৭৫৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬৫টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন, খুলনা বিভাগে আটজন, সিলেট বিভাগে তিনজন, রংপুর বিভাগে দু’জন ও ময়মনসিংহে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩৫ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে তিনজন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন ও ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে একজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫০৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৫৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৭৬ হাজার ৩৫২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৩০ হাজার ৬১৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৫ হাজার ৭৩৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।