রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: বিদেশে পড়াশোনা বা চাকরির উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো সরকার। এখন থেকে শিক্ষাগত সনদ যাচাই ও অ্যাপোস্টিল সনদ পাওয়া যাবে ঘরে বসেই অনলাইনে। শনিবার (২৩ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, বিদেশে পড়াশোনা বা কাজের জন্য শিক্ষাগত সার্টিফিকেট যাচাই করা সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং জটিল প্রক্রিয়া ছিল। এতে দূতাবাস ও বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার যেতে হতো, যা অনেকের জন্য চাপ, বিলম্ব এবং অতিরিক্ত খরচের কারণ হতো। যদি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও চাকরির জন্য সব সার্টিফিকেট অনলাইনে যাচাই করা যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ অনলাইন সনদ যাচাই এবং অ্যাপোস্টিল সিস্টেম চালু করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন পাবলিক ডকুমেন্ট যাচাইয়ের জন্য অ্যাপোস্টিল সনদ দেবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও নাগরিকরা অনলাইনে নিজেদের শিক্ষাগত সনদ ডিজিটালি যাচাই করাতে পারবে। এতে শিক্ষার্থী ও নাগরিকরা তাদের শিক্ষাগত কাগজপত্র ডিজিটালি যাচাই করতে পারবেন, যার ফলে দূতাবাস বা বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার দরকার হবে না, সময় বাঁচবে, খরচ কমবে, জালিয়াতি রোধ হবে এবং এসব সনদ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
এতে আরও বলা হয়, দূতাবাস বা বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে শারীরিকভাবে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না, ফলে সময় ও শ্রম বাঁচবে; ম্যানুয়াল সত্যায়ন ও যাচাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ফি কমে যাবে; ডিজিটাল যাচাইয়ের মাধ্যমে জাল সনদ ও প্রতারণা কমবে। এ ছাড়া সামগ্রিকভাবে, বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি ও অভিবাসনের জন্য যাচাই প্রক্রিয়া সহজ হবে।চাকরি
সরকার বলছে, এই ডিজিটাল সিস্টেম ব্যয়বহুল ও ঝামেলাপূর্ণ কাগজপত্রের প্রক্রিয়া থেকে মুক্তি দেবে। শিক্ষার্থী ও কর্মীরা দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে তাদের কাগজপত্র যাচাই করাতে পারবেন। এর ফলে বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি ও অভিবাসনের পথ আরও সহজ হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ তরুণদের স্বপ্নপূরণের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আন্তর্জাতিক মানের যাচাই প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও কর্মীরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে পারবেন।