শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা : ভূমি সেবায় স্বচ্ছতা ও আস্থার পরিবেশ গড়ে উঠেছে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা ভূমি অফিসে। দ্রুত নামজারী সম্পাদন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সরকারী সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সকল ভুমিকা রেখে চলেছে উক্ত অধিদপ্তর।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বাহুবল উপজেলা ভূমি অফিসে নামজারী মোকদ্দমায় ভুক্তভোগী হয়ে আসছিলেন আবেদন কারীরা, দালাল দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ ছিলেন গ্রাহকরা। আটাশ কার্যদিবসে নামজারী মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা থাকলেও মাসের পর মাস পেরিয়ে যেতো, কখনও কখনও বছর পেরিয়ে গেলেও মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হতো না।i
গত মে মাসে বাহুবল উপজেলা ভূমি অফিসে যোগদান করেন মোঃ মাহবুবুল ইসলাম। তিনি প্রথমেই অফিসটিকে দালাল মুক্ত করার চেষ্টা করেন। এতে তিনি অনেকটা সফল হয়েছেন। ১১৭০/-টাকা সরকারী ফি থাকা সত্তেও ভূমি মালিকদের গুনতে হতো ৮/১০ হাজার টাকা। ২৮ কার্যদিবসে নামজারী মোকদ্দমা নিষ্পত্তির নিয়ম থাকলেও বর্তমানে গড়ে ১৭ কার্যদিবসে মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে। গত তিন মাসে ১ হাজারের বেশি মামলার জট নিরসন করেছেন। ফলে জনসাধারণের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়েছে।
উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের সেবা গৃহীতা আব্দুল আউয়াল তহবিলদার সবুজ বলেন, মাত্র ৯ কার্যদিবসে তিনি তার নামজারী মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করে পর্চা হাতে পেয়েছেন। শেওরাতুলি গ্রামের আজিজুল ইসলাম সাকিব বলেন, আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যেই তিনি নাম খারিজ পর্চা পেয়েছেন। নামজারী সহজিকরনে তিনি সহকারী কমিশনার ভূমি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
এছাড়াও অবৈধ বালু উত্তোলন, ফসলী জমির মাটি কাটা, মাদক নির্মূল, ভোক্তাu অধিকার সংরক্ষণ ও সরকারি সম্পদ সংরক্ষণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, তৃতীয় পক্ষের কাছে না গিয়ে মানুষ যাতে সরাসরি অফিসমুখী হয় এটাই তার উদ্দেশ্য। তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, আগের দালাল নির্ভর পরিবেশের পরিবর্তে দালাল বিহীন নামজারী সম্পাদনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায় এখন সরাসরি ও সহজলভ্য সেবা পাওয়া যাচ্ছে। যা ভূমি জটিলতা নিরসন ও প্রশাসনের স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টান্ত স্হাপন হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী।