শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
আর ইউ সুমন, বানিয়াচং থেকে : বানিয়াচংয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হওয়া বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় ইউপি মেম্বার (সদস্য) ময়না মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজে সর্বস্তরের লোকজন ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, বানিয়াচং থানা পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও আলেম ওলামা অংশগ্রহন করেন। নামাজ শেষে নিহত ময়না মিয়াকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন-সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা:সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দাল হোসেন খান, বানিয়াচং থানার ওসি রাশেদ মোবারক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া,মাওলানা হাবিবুর রহমান, ছান্দ সর্দার তোতা মিয়া চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল জলিল ইউছুফি ও নিহতের বড় ছেলে প্রবাসী বাবলু মিয়া।
বক্তারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান। কেনো নিরপরাধ ব্যক্তিতে যেন এই মামলায় না জড়ানো হয় সেদিকেও নজর দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন তারা। ওসি রাশেদ মোবারক তার বক্তব্যে বলেন-যত দ্রুত সম্ভব এই হত্যার মোটিভ উদ্ধার করা হবে। পাশাপাশি হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে এমন কারো নাম জানা থাকলে স্থানীয় পুলিশকে সহযোগীতা করার জন্যও বলেন তিনি।
উল্লেখ্য,গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় দিকে বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ৪ বারের নির্বাচিত মেম্বার ময়না মিয়া (৬৫) কে কুপিয়ে হত্যা করে দৃর্বৃত্তরা। দক্ষিণ যাত্রাপাশার বড়বাড়ি সংলগ্ন নিহতের বাড়ির রাস্তার পাশে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, মেম্বার ময়না মিয়া প্রতিদিনের ন্যায় বাজার থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে উল্লিখিত স্থানে পৌছা মাত্রই আগ থেকে উৎ পেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবার কচুরিপানার মধ্যে ফেলে রেখে দেয়। পরে রাস্তার মধ্যে তার ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় ও সদাইপাতি পরে থাকতে দেখে আশে পাশের মানুষ মেম্বার ময়না মিয়ার বাড়িতে খবর দেয়। তাৎক্ষনিক ঘটনাটি উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া ও বানিয়াচং থানা পুলিশকে অবহিত করেন তারা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মরদেহ প্রেরণ করা হয়। তবে কি কারণে কে বা কারা ময়না মিয়াকে হত্যা করেছে এ রহস্য এখনো উন্মোচন হয়নি।
পুলিশ জানিয়ে হত্যাকারীদের ধরতে সন্দেহভাজন বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। শীঘ্রই এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ধার করা হবে জানিয়েছেন বানিয়াচং থানার ওসি রাশেদ মোবারক। তিনি আরো জানান এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।