বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা : বাহুবলে বিয়ের দেড়মাসের মাথায় স্বামীর বাড়িতে নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাতে উপজেলার বাবনাকান্দি গ্রামে। শনিবার দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহতের পিতৃপক্ষের লোকজনের দাবি, তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। পক্ষান্তরে স্বামীর পক্ষের লোকজনের দাবি, স্বভাবিক মৃত্যুর ঘটনাটি এটি।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার বাহুবল সদর ইউনিয়নের বাবনাকান্দি গ্রামের আরফান উল্লার পুত্র প্রবাসী মুশাহিদ মিয়ার সাথে উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের অলুয়া নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক এখলাছ মিয়ার কন্যা নূরজাহান (২০)-এর বিয়ে হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের পর দৃশ্যত ভালই কাটছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। শুক্রবার রাত ৮টার পর প্রবাসী মুশাহিদ মিয়া একাই শ্বশুরবাড়িতে দাওয়াতে যান। রাত ১১টার দিকে মুশাহিদ মিয়ার পিতা আরফান উল্লা ফোনে জানান, নববধূ নূরজাহান গুরুতর অসুস্থ। খবর পাওয়ার পরপর সমন্ধিক (নুরজাহানের বড় ভাই) আহমদ হোসেন মামুন-এর মোটরসাইকেলযোগে মুশাহিদ মিয়া ও তার শ্বশুর এখলাছ মিয়া বাবনাকান্দি গ্রামে ফিরে আসেন এবং নূরজাহানের নিথর দেহ বাহুবল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে জানান, ২/৩ ঘন্টা আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের পিতাসহ পরিবারের সদস্যরা জানান, নূরজাহানের মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে তলপেটে ফুলা জখম আছে।
নিহত নূরজাহানের পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার পর স্বভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ সম্মিলিত ভাবে নূরজাহানকে অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেছে। পক্ষান্তরে নিহতের স্বামীর পরিবারের দাবি, নূরজাহানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেছেন, নিহতের পরিবারের আগ্রহের কারণে লাশ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে, মৃত্যুর কারণ।