সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: তীব্র প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে। ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে তাণ্ডব চালিয়ে ভয়ঙ্কর এই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপক’লে আঘাত হেনেছে। ‘ফণী’ নিয়ে সিলেটেও রয়েছে আতঙ্ক।
‘ফণী’র প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের বেশকিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৬ জন। বাগেরহাটে ফণীর প্রভাবে ঝড়ে গাছ পড়ে একজন নিহত হয়েছেন।
ফণীর প্রভাবে সিলেটেও বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বেড়ে গেছে বাতাসের গতিবেগও। যদিও ফণীর প্রভাব সিলেটে খুব একটা পড়বে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তথাপি সিলেটজুড়েই অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে মানুষের মধ্যে।
শুক্রবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময় ফণী পুরো শক্তিতে বাংলাদেশে আঘাত হানবে। তাই রাত ঘনাতে শুরু করার সাথে সাথে সিলেটের মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক বাড়ছে।
অবশ্য সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সিলেটে ফণীর প্রভাব খুব ভয়ঙ্কর কিছু হবে না। তবে পুরো বিভাগে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। একইসাথে বাতাসের গতিবেগও স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফণীর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ফণী কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে ফণী ৮০-১০০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানতে পারে।