শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা : লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ৪জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর এলাকার মুয়িদ পুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ ( ২৫)। একই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ (২৪) এবং সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন (২৪)। এ ঘটনায় ফেঞ্চুগঞ্জের দিনপুর গ্রামের আরেকজন নিহত হয়েছে। তার পরিচয় জানা যায় নি।
এ ব্যাপারে নিহত আজিজের ভাই মফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান শনিবার (১১ মে) বেলা ৩ টার দিকে তিউনিসিয়া উপকুল থেকে বেঁচে যাওয়া তার চাচা মুয়িদপুর গ্রামের দিলাল ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশে রওয়ানা হন। ভূমধ্যসাগরে গিয়ে নৌকাটি ডুবি গেলে নিহত হন প্রায় ৬০ জন অভিবাসী। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছে তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট।
গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট একটি নৌকায় তোলা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়।
তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, রাবারের তৈরি ‘ইনফ্লেটেবেল’ নৌকাটি ১০ মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়।
তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে জারযিজ শহরের তীরে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানান, ঠাণ্ডা সাগরের পানিতে তারা প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন।
উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের ১৪ জনই বাংলাদেশি।
ত্রিপলিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী বিবিসিকে বলেন, তারা দুর্ঘটনার কথা জানেন এবং তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ চলছে।
তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তারা জারযিজে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। লিড়াই চলার কারণে সড়কপথে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে তাদের আকাশপথে যেতে হবে।
বেঁচে ফেনি অভিবাসীদের ভাষ্যমতে, নৌকাটিতে ৫১জন বাংলাদেশি ছাড়াও তিনজন মিশরীয় এবং মরক্কো, শাদ এবং আফ্রিকার অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিল।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে ইউরোপের যাওয়ার জন্য ভূমধ্যাসাগরের ওই সমুদ্রপথে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে নৌকাডুবির ঘটনায় ১৬৪ জন শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এবারের দুর্ঘটনাটিকে বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ শরণার্থী নৌকাডুবির ঘটনা হিসেবে অভিহিত করছে সংস্থাটি।