সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
মুন্সিগঞ্জ: পদ্মায় নাব্যতা-সংকট আর লিফটিং ক্রেনের স্বল্পতার কারণে ত্রয়োদশ স্প্যান ‘৩-বি’ পিলারের ওপর বসানোর পরিকল্পনা পেছালো কর্তৃপক্ষ। এ স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তের সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর কথা রয়েছে।
রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগেই কয়েক দফায় এ স্প্যানটি বাসানোর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। স্প্যানটি বসানো হলে দৃশ্যমান হবে সেতুর এক হাজার ৯৫০ মিটার।
পদ্মাসেতুর প্রকল্পের প্রকৌশল সূত্র জানান, মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন স্প্যান বহন করে। এরপর বসানো হয় পিলারের ওপর। তবে স্প্যান ভাসমান ক্রেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য লিফটিং ক্রেন নেই। লিফটিং ক্রেন ২৬ নম্বর পিলার এলাকায় পাইলিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এছাড়া স্প্যানবহনকারী ক্রেনের রুটে নদীতে নাব্যতা-সংকট। পাইলিং কাজ শেষে স্প্যান বসানোর একটি তারিখ নির্ধারণ করা হবে। আনুমানিক ২৫ কিংবা ২৭ মে এর মধ্যে হতে পারে। স্প্যানটি বসানো হবে মাওয়া প্রান্তের ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর।
সূত্র আরও জানান, ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানকে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের বাইরে। সবকিছু অনুকূলে থাকলে তারিখ নির্ধারণ করে বসবে ‘৩-বি’ স্প্যানটি। তবে চলতি মাসেই বসানোর ব্যাপারে আশাবাদী প্রকৌশলীরা।
জানা যায়, সেতুতে ৩১২টি রেলওয়ে স্ল্যাব ও ১৬টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। ৪২টি পিলারের মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে ২৫টি পিলার। নদীর অংশের ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৩৬টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।