শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে একটি টর্নেডো আঘাত হেনেছে। সেই টর্নেডোর নাম সাকিব-লিটন। এক ঝটকায় লণ্ডভণ্ড করে দিলো ক্যারিবীয়দের। দফায় দফায় ঝড়। কিছুতেই থামছিল না। অনেক চেষ্টা করেও লাভ হলো না। সাকিব-লিটন আঘাতে চুরমার সবকিছু।
ক্যারিবীয়দের কাঁপানো হয়েছে। সেটা কাঁপালেন বাংলার টাইগাররা। ঝড়ের উৎপত্তিস্থল ইংল্যান্ডের টন্টনের কাউন্টি গ্রাউন্ড মাঠে। শুরুটা তামিম-সৌম্যই করেছিলেন। তবে তাদের বিদায়ে মন খারাপ হয়েছিল টাইগার ভক্ত সমর্থকদের। অবশ্য সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন সুপারস্টার সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গী লিটন দাশ। একজনের সেঞ্চুরি আরেকজনের হাফ সেঞ্চুরি। এতেই বেসামাল ক্যারিবীয় শিবির। সাকিব-লিটন- টাইগারদ্বয়ের কাছে পাত্তাই পায়নি ক্যারিবীয় বোলাররা।
৩২২ রানের জবাবে সৌম্য করেন ২৯, তামিম ৪৮ ও মুশফিক আউট হন ১ রানে। এরপর শুধুই সাকিব-লিটনের গল্প। সাকিব ৯৯ বলে অপরাজিত থাকেন ১২৪ রানে। আর লিটন দাস ৬৯ বলে ৯৪ করে অপরাজিত থাকেন। ৫১ বল বাকী থাকতেই জয়ের বন্দরে বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরা হন সাকিব আল হাসান।
আসরে টিকে থাকতে আজ টাইগারদের উইন্ডিজবধ ছিল খুবই জরুরি। সে মিশনে টস জিতে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়ে পাঠান কাপ্তান মাশরাফি। প্রথম ১০ ওভারে সফল তাদের বোলিং অ্যাটাক। কিন্তু হেটমায়ার, হোপ আর লুইসদের মারমুখী ব্যাটিং উইন্ডিজদের স্কোর নিয়ে যায় অন্য উচ্চতায়। তিনশ’র বেশি রান জমা পড়ে স্কোর বোর্ডে। স্কোরবোর্ডে এত রান হওয়ায় টাইগার শিবিরে খানিকটা চিন্তার ভাঁজ ফেললেও নিরাশ হননি ভক্ত সমর্থকরা।
এরআগে, ক্যারিবীয়দের ইনিংসজুড়ে ছিলো শাই হোপের নাম। তার অনবদ্য ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করেই এগিয়ে যায় তারা। যদিও মোস্তাফিজের আঘাতে ফেরায় ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ না করা হয়নি তার। এছাড়াও ৭০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন এভিন লুইস। আর ফিফটির দেখা পেয়েছেন শিমরন হেটমায়ারও। উইন্ডিজদের মোট ৭ উইকেট তুলে নেয় টাইগার বোলাররা।
বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় শুরু হয় ম্যাচটি। বাংলাদেশ দলে আজ ফিরেছেন লিটন দাশ। মিঠুনের পরিবর্তে একাদশভুক্ত হয়েছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮ (গেইল ০, লুইস ৭০, হোপ ৯৬, পুরান ২৫, হেটমায়ার ৫০, রাসেল ০, হোল্ডার ৩৩, ব্রাভো ১৯, টমাস ৬*; মাশরাফি ৮-১-৩৭-০, সাইফ ১০-১-৭২-৩, মুস্তাফিজ ৯-০-৫৯-৩, মিরাজ ৯-০-৫৭-০, মোসাদ্দেক ৬-০-৩৬-০, সাকিব ৮-০-৫৪-২)।
বাংলাদেশ: ৪১.৩ ওভারে ৩২২/৩ (তামিম ৪৮, সৌম্য ২৯, সাকিব ১২৪*, মুশফিক ১, লিটন ৯৪*; কটরেল ১০-০-৬৫-০, হোল্ডার ৯-০-৬২-০, রাসেল ৬-০-৪২-১, গ্যাব্রিয়েল ৮.৩-০-৭৮-০, টমাস ৬-০-৫২-১, গেইল ২-০-২২-০)
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: সাকিব আল হাসান