বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

মিলাদ গাজী এমপির প্রচেষ্টায় ৫৭৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

শাহনওয়াজ মিলাদ গাজী এমপি ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ও পানিসম্পদ মন্ত্রীকে নিয়ে কুশিয়ারা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ গাজীর প্রচেষ্ট নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার নদ নদীর তীর সুরক্ষা ও খনন কাজের জন্য ৫৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্তনৈতিক পরিষদ(একনেক)।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের অন্যতম বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র সুরক্ষার পাশাপাশি নবীগঞ্জ বাহুবলসহ জেলার নদ নদী গুলোর আন্তসংযোগ সৃষ্টি হবে। নদ নদীগুলো ফিরে পাবে নব্যতা। রক্ষা পাবে বর্ষা মৌসুমে নদী এলাকার বন্যার পানিতে বানবাসি হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও নদীপাড়ের ৪০ থেকে ৪৫ হাজার হেক্টর জমির পরিকল্পিত সেচ সুবিধা তৈরী হবে।

জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দিগলবাক ও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদীর উভয় পাড়ে বাধ না থাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসিমে নদীর পানি বরার সাথে সাথে ওই সমস্ত এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেন। ক্ষতিগ্রস্হ হয় লাখ লাখ টাকার ফসল। ভেঙ্গে পরে অসংখ্য কাচা ঘর। শুধু তাই নয় ইতো মধ্য নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে শতাধিক ঘর বাড়ি। ভিটে হীন হয়ে গেছে অসংখ্য পরিবার। কোন কোন বছর এই কুশিয়ারা এতো হিংস্ররূপ ধারণ করে যে ওই এলাকার লোকজনকে পানিবন্ধি হয়ে থাকতে হয় মাসাধিক কাল।

গত বর্ষা মৌসুমে বাধ ভেঙ্গে দিগলবাক, ইনাতগঞ্জ ও আউশকান্দি এলাকা প্লাবিত হলে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ গাজী এমপি বিদেশ সফর বাতিল করে বানবাসি মানুষের পাশে ছুটে যান। তাৎক্ষণিক ২ কোটি টাকা বরাদ্দ এনে বস্তা ফেলে বাধ নির্মাণ করে রক্ষা করেন এলাকাবাসীকে। তার আহবানে সারা দিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ও পানিসম্পদ মন্ত্রী কুশিয়ারা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে বাধ নির্মাণ ও খনন কাজের জন্য ৫ শ কোটি টাকার প্রকল্প প্রদানের ঘোষনা দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গল বার একনেকের সভায় ৫৭৩ কোটি টাকার কুশিয়ারা প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, আগামী মার্চ মাসের প্রথম দিকে ই জিপিতে দরপত্র আহবান করা হবে। প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুন মাসে শেষ হবে। পাউবো বলছে, এ প্রকল্পের মুল উদ্যেশ্য দেশের শীর্ষতম বিদ্যুত কেন্দ্র বিবিয়ানা পওয়ার ষ্টেশনকে সুরক্ষা দেয়া। এখানে ৪০০ মেগাওয়াট করে ১২০০ মেগাওয়াটের তিনটি বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। এ এলাকাটি সুরক্ষার জন্য কুশিয়ারা নদীর ঢাকা সিলেট মহা সড়কের শেরপুর সেতু থেকে নবীগঞ্জ উপজেলার দীগলবাক ইউনিয়নের দুর্গাপুর পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪০০ কিলোমিটার নদীর উভয় তীরে বাধ ও ব্লক নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি বাধের ওপর বৃক্ষরোপন করা হবে।

এছাড়াও নবীগঞ্জ উপজেলার গোপলা নদী, বিজনা নদী ও বাহুবল উপজেলার করাঙ্গী নদীর ২০ কিলোমিটার খনন করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com