রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

নবীগঞ্জে আবারো বেপরোয়া মনি, ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : নবীগঞ্জ উপজেলায় এবার ৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সেই বিতর্কিত নারী ফরজুন আক্তার মনি। যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়েরী মামলায় সম্প্রতি সাংবাদিক নির্যাতনকারী নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন এর মালিকানাধীন অরবিট হসপিটাল দেখানো হয়েছে ঘটনাস্থল।

সাংবাদিকদের ভাষ্য- এই মামলায় অনেকটা স্পষ্টভাবেই বুঝা যায় ঘটনার মাস্টার প্লানকারী কারা। এদিকে ফের অভিযোগ উঠেছে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে এসে নানা অপকর্ম শুরু করেছে মনি নামের এই প্রতারক নারী। নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে সাংবাদিক মহলে।

মামলার আসামী সাংবাদিকরা হলেন- সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্যাতনের শিকার (চিকিৎসাধীন) দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি, নবীগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য শাহ সুলতান আহমেদ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি এম এ আহমদ আজাদ, দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি এম মুজিবুর রহমান, চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর মিয়া। ৫জন সাংবাদিক ছাড়াও সাকির আহমেদ নামের স্থানীয় এক যুবককে আসামী করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ৩০ মার্চ ত্রাণে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করায় আউশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাংবাদিক শাহ সুলতান আহমেদ উপর অতর্কিত হামলা চালান। এসময় চেয়ারম্যান হারুন নিজেই ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পেটান সাংবাদিককে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ।

এ ঘটনায় সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান বাদি হয়ে পরের দিন ইউপি চেয়ারম্যান হারুনকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এক আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় চেয়ারম্যান হারুন।

এরপর থেকেই কিভাবে সাংবাদিকদের সায়েস্থা করা যায় এমন নিল নকশা তৈরী করেন চেয়ারম্যান হারুন ও তার বাহিনী। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান খুঁজে আনেন বহু অপকর্মের হুতা নারী প্রতারক ফরজুন আক্তার মনিকে। অসুস্থ শাহ সুলতান ওইদিন আউশকান্দি বাজারে অবস্থিত তার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তার মেয়েকে নিয়ে ঔষধ কিনতে নিচে নেমে ফার্মেসিতে যাওয়ার সময় দেখেন বহুরূপী মনি ও চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী তার পথরোদ্ধ করে। ওই মনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শাহ সুলতানকে নানান ভাবে অপদস্ত করে। কিন্তু ওই ঘটনাটিকে এখন সাজানো হয়েছে অন্যভাবে। বিতর্কিত নারী মনিকে দিয়ে সাংবাদিকদের উপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা দায়ের করেন। মামলায় সাংবাদিকদের উপর যৌন হয়রানী, ও চুরির অভিযোগ তোলা হয়। মামলাটি গত ৬ এপ্রিল রাতে নবীগঞ্জ থানায় রেকর্ড হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com