শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এপিওভুক্তির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও কারিগরি বিভাগ। এতে সিলেট বিভাগের ৭৫টি মাদ্রাসা এবং ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার ও বিএম স্তরে আরও ৩টি সহ সারাদেশে সাতটি স্তরের মোট ৯৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির আওতায় আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূইয়া স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তালিকায় দেখা গেছে, মাদরাসার দাখিল স্তরে ৩২৪টি, আলিম স্তরে ১১৯টি, ফাযিল স্তরে ৩৪টি, কামিল স্তরে ২২টি এবং কারিগরি পর্যায়ে ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার পর্যায়ে ৬০টি, বিএম পর্যায়ে ২৬৩টি এবং এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল পর্যায়ে ১৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে সিলেট বিভাগের চার জেলায় আলিম, ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের ৭৫ মাদ্রাসাকে চূড়ান্ত এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার স্তরে সিলেটের একটি ও বিএম স্তরে সিলেট এবং সুনামগঞ্জের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও চূড়ান্তভাবে এমপিওভুক্ত করা হয়।
চূড়ান্ত এমপিওভুক্ত হওয়া দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও কোডসহ বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারিগরি অধিদফতর ও মাদরাসা অধিদফরকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়োগকালীন সময়ের বিধিবিধান, পরিপত্র, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে সে প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে। গত বছরের পহেলা জুলাই থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি সুবিধা প্রদান করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে এসব প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের কাগজপত্র যাচাই করে কোড নম্বর দিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১০ বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর ২৩ অক্টোবর একযোগে দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ওই বছরের ১২ নভেম্বর ছয়টি এবং ১৪ নভেম্বর একটি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়। নতুন এমপিও পাওয়া এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের গত বছরের (২০১৯) জুলাই থেকে নির্ধারিত বেতন-ভাতা পাওয়ার কথা থাকলেও ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত তালিকা নিয়ে নানা বির্তক ওঠে। এরপর তা নতুন ভাবে যাচাই-বাছাই করতে কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী সেসব প্রতিষ্ঠানের কাম্য যোগ্যতা অর্জন হয়েছে সেগুলোকে চূড়ান্তভাবে এমপিওভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। গতকাল বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নিন্ম মাধ্যমিক থেকে কলেজ পর্যন্ত এক হাজার ৬৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে এমপিওভুক্তি করে তালিকা প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের কোড দেয়া সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষক-কর্মচারীদের কোড দেয়া শুরু হবে। এ প্রক্রিয়াও দ্রুত শেষ করা হবে। চলতি অর্থবছরের মধ্যেই শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের বেতন পাবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, খুব দ্রুতই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে।
এদিকে চূড়ান্ত এমপিওভুক্তির তালিকায় দাখিল স্তরে রয়েছে সিলেট জেলার ২২ টি, সুনামগঞ্জ জেলার ১৬ টি, মৌলভীবাজার জেলার ৭ টি এবং হবিগঞ্জ জেলার আরো ৭ টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
নিচে সিলেট বিভাগের দাখিল স্তরের তালিকা :
আলিম স্তরে রয়েছে সিলেট জেলার ৮ টি, সুনামগঞ্জ জেলার ৪ টি, মৌলভীবাজার জেলার ৪ টি এবং হবিগঞ্জ জেলার আরো ১ টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
নিচে সিলেট বিভাগের আলিম স্তরের তালিকা :
ফাজিল স্তরে সিলেট বিভাগে ৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- সিলেট সদর উপজেলার শাহজালাল ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা ও হজরত শাহজালাল দারুসুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদ্রাসা এবং হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদ্রাসা।
এছাড়া ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার স্তরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় তৈয়ব আলী কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট এবং বিএম স্তরে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার এম সাইফুর রহমান টেক এন্ড বিএম কলেজ ও সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হাজেরা মুসলিম টেকনিক্যাল কলেজকে চূড়ান্তভাবে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।