বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : এক লাখ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের দুঃখজনক মাইলফলকে পৌঁছানোর পথে বাংলাদেশ টপকে গেছে কানাডাকে, আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ এখন ১৭তম।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর জানায় আইইডিসিআর। এরপর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২ হাজার ২৯২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে।
সরকারি হিসাবে তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৪৩ জন; আর ৪০ হাজার ১৬৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত যে টালি প্রকাশ করছে, তাতে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬৮ জন। তাদের মধ্যে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে; ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
এ পর্যন্ত মোট ১৮টি দেশের সরকার এক লাখের বেশি রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছে। এ তালিকায় সবার উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সেখানে প্রথম রোগী শনাক্তের পর এ পর্যন্ত সেখানে ২১ লাখ ৬৩ হাজার ২৯০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দেশটিতে মার্চের প্রথম সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা ছিল ১০০ জন, দ্বিতীয় সপ্তাহে তা ১ হাজার অতিক্রম করে, তৃতীয় সপ্তাহে সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
মার্চের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ায়। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ লাখের বেশি। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে তা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে এখনও বাড়ছে।
৯ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৭ জন শনাক্ত রোগী নিয়ে এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সেখানে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। এক মাসের মাথায় তা ৫ হাজার ছাড়ায়।
মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ লাখ ছাড়িয়ে যায়। দ্বিতীয় সপ্তাহে ২ লাখে, তৃতীয় সপ্তাহে ৩ লাখ অতিক্রম করে আক্রান্তের সংখ্যা। মে মাসের শেষে রোগীর সংখ্যা ছাড়ায় ৫ লাখ। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে দেশটিতে রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় সংক্রমণের প্রথম খবর আসে ৩১ জানুয়ারি। দেশটিতে এখন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৬০ হাজার ২৭৯ জন।
দেশটিতে রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যায় মার্চের শেষ সপ্তাহে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে তা ১০ হাজার ছাড়ায়। এপ্রিলের শেষে রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২ লাখ, তৃতীয় সপ্তাহে ৩ লাখ, চতুর্থ সপ্তাহে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা ছাড়ায় ৫ লাখ।