বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশাচালক আলাউদ্দিন (৩২) নিহতের ঘটনায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, তার ভাই শাহাদাত হোসেন ও ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাসিকসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (হত্যা মামলার আবেদন) দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে নিহতের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি মির্জা কাদেরের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা পিস্তল, শর্টগান, পাইপগান, রামদা, লোহার রড নিয়ে অর্ধশতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং প্রতিবাদ সভায় হামলা চালায়। এসময় মামলার চার নং আসামী নাজিম উদ্দিন বাদল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আলা উদ্দিনের পেটে গুলি করে মারাত্মক জখম করে। এরপর পাঁচ নং আসামি নাজিম উদ্দিন মিকনসহ তাদের সমর্থকরা আলা উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরে ছয় নং আসামি মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন তার হাতে থাকা লোহার রড আলাউদ্দিনের পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করে সাদা পোশাকের পুলিশ। প্রথমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকর্মীদের মিজানুর রহমান বাদলের গ্রেপ্তারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তবে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেন এসপি।
এদিকে বসুরহাট পৌরভবনের চারপাশে র্যাব-পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকাটাইমস প্রতিনিধি। ভবনের ভেতরে মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা কয়েক নেতাকর্মী নিয়ে অবস্থান করছেন।
গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন নিহত হন। হাসপাতালে এসে নিহত আলা উদ্দিনকে নিজের সমর্থক দাবি করেন মিজানুর রহমান বাদল। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০জন।