সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ১৬৪ জনের নামে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১টার দিকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ নম্বর আমলি আদালতে এই মামলা করা হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় তার ছোট ভাই এমদাদ হোসেন ওরফে রাজু বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা করেন।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান প্রাথমিক শুনানি শেষে বাদীর অভিযোগ আমলে নেন। এ সময় বিচারক বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
মামলা করার পর আদালত প্রাঙ্গণে বাদীর আইনজীবী হারুনুর রশীদ হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, আদালত বাদীর মামলা গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র উপস্থাপন করতে বলেছেন। আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, তার ছোট ভাই শাহদাত হোসেন, কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদেরসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর ভবন এলাকায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংষর্ঘ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মিজানুর রহমানের অনুসারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও শ্রমিক লীগের চর ফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি (সাবেক যুবলীগ কর্মী) আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও কমপক্ষে ২০ জন।
ওই ঘটনার পর নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে দুই দফায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করতে যান। থানার ওসি মীর জাহেদুল হক এজাহার থেকে আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু বাদী এজাহার থেকে কাদের মির্জার নাম বাদ দিতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় মামলা নেয়নি। এতে বাধ্য হয়ে এমদাদ হোসেন আজ আদালতে মামলা করেছেন।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর থেকে সরকার, নির্বাচন, দলের নেতা ও সাংসদদের বিরুদ্ধে নানা ‘সত্যবচনে’ আলোচনায় আসেন সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। সেই ‘সত্যবচন’–এর জের থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতে রূপ নেয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান। এরপর ৯ মার্চ বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে রাত ৯টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে আবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিন (৩২) নিহত হন।