বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : বর্ষায় সারা দেশে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় দশ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পাশাপাশি দেশের প্রায় সব জায়গায় ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় আগামী সপ্তাহে বন্যার বিস্তার দেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ছড়াতে পারে।
শুক্রবার লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার ও নীলফামারী জেলায় বন্যা পরিস্থির অবনতি হয়েছে।
এসব জেলার নিচু এলাকায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে খবর দিয়েছেন আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা। এছাড়া চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও জামালপুরে চোখ রাঙাচ্ছে ভাঙন।
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাঠ পর্যায়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুর্গত জেলাগুলোতে সাড়ে ১৭ হাজার মেট্রিকটন চাল, ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানোর পাশাপাশি দুই কোটি ৯৩ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতি জেলায় ৫০০টি করে তাঁবু এবং মেডিকেল টিম পাঠানো হচ্ছে।
পূর্বাভাস
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে সাতটি নদীর পানি ১২টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছিল। এর মধ্যে নয়টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত ছিল।
এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, উজানে- বিশেষ করে আসাম, মেঘালয় ও বিহারে ভারী বর্ষণ চলবে আরও তিন থেকে চার দিন। তাতে আগামী এক সপ্তাহে দেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবে আরও।
ভারতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে যমুনা নদীতে পানি আরও বাড়বে। পাশাপাশি বিহারে গঙ্গার পানি বাড়ায় বালাদেশে পদ্মা অববাহিকায় বন্যা দেখা দিতে পারে।
“আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে বন্যার বিস্তৃতি দেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত আসতে হবে। বন্যার ব্যাপ্তি হতে পারে সাত থেকে ১০ দিন। একে বলা হয় মধ্য মেয়াদী বন্যা।
৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ঢাকা সয়লাব
আষাঢ়ের শেষে এসে শুক্রবার দুপুরের ভারি বর্ষণে রাজধানী ঢাকার নাগরিক জীবন বিপর্যযস্ত হয়ে পড়ে। বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
বৃষ্টির কারণে মিরপুর, যাত্রাবড়ী, সায়েদাবাদ, বঙ্গবাজার, মৌচাক, ফার্মগেট, ধানমণ্ডিসহ বেশ কিছু এলাকার রাস্তায় কয়েক ঘণ্টার জলযটে ভুগতে হয় মানুষকে।
অবশ্য বিকালের পর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমে আসে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় আরও ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
আবহাওয়ার শনিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে। ৪৮ ঘণ্টা পর বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।
অতি ভারি বৃষ্টিতে (৮৯ মিলিমিটার) চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা বাড়ে জানিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দছ।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে হাওরে আগাম বন্যার পর জুলাইয়ের দ্বিতীয়ার্ধে মৌসুমের প্রথম বন্যায় অন্তত ১৩ জেলার অনেক উপজেলা প্লাবিত হয়।
ওই বছর অগাস্টের বন্যায় ৩২ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পৌনে এক কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানিতে ভেসে ও বন্যাজনিত অন্যান্য কারণে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়।
২০১৭ সালের ওই বন্যার বিস্তার কম হলেও প্রাণহানির দিক দিয়ে তা ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বন্যাকে ছাড়িয়ে যায়।
সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
সিলেট
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে; পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১০০ গ্রামের মানুষ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সন্দীপ সিংহ জানান, ওইসব এলাকার ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিজন ব্যানার্জি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
চাঁদপুর
পানি বাড়ায় চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরভৈরবীতে মেঘনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আহমেদ আলী মাস্টার বলেন, কয়েক দিন ধরে হঠাৎ করে আমতলী এলাকায় মেঘনায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
“চরভৈরবী, আমতলী, গাজীনগর, হাইমচর এর বিভিন্ন স্থানে চার কিলোমিটার এলাকায় ব্লক দেবে গর্ত হয়েছে। ভাঙনের কারণে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে রয়েছে।”
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকায় তলিয়ে যাচ্ছে নদী তীরের নিচু এলাকার ফসলি জমি।
নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে থাকলেও কয়েকটি এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বরেন, কাজীপুরের বাঐখোলা, খুদবান্দি এবং এনায়েতপুরের ব্রহ্মণগাতী, হাটপাচিল এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঢাকা থেকে অনুমতি পেলে তারা ভাঙন রোধে কাজ শুরু করবেন।
কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়ায় বাঁধ পেরিয়ে পানি ঢুকেছে চারটি গ্রামে, সেই সেঙ্গ নদীর কয়েকটি জায়গায় শুরু হয়েছে ভাঙন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার সব চরের আমনের বীজতলা, পাট, ভুট্ট ও সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। নিচু এলাকায় ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় গবাদিপশু নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।
“ধরলার ভাঙনে সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ভাঙনের মুখে পড়েছে। চিলমারীর নয়ারহাট ও অষ্টমীরচর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে নদী ভাঙনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।”
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, তার ইউনিয়নের এক হাজার পরিবার বন্যার কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জামালপুর
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ভাঙনের আতঙ্কে তৈরি হয়েছে বহু পরিবারে। ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার যমুনা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে শুক্রবার পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নবকুমার চৌধুরী বলেন, “চিকাজানী ইউনিয়নে যমুনা নদীর পূর্বপাড়ের প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে প্রশাসন কাজ শুরু হয়েছে।
বোর্ডের গেজপাঠক আব্দুল মান্নান বলেন, গত এক সপ্তায় চিকাজানী ইউনিয়নের বড়খাল গ্রামের ৩০টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনে হুমকিতে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার, মসজিদ, একটি নৌ-থানাসহ ফসলি জমি।
এ ইউনিয়নের ৩৫ হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার মানুষ ভাঙনের কারণে আতঙ্কে রয়েছে বলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মমতাজ উদ্দিন আহাম্মেদ জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট
শুক্রবার সকাল থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের পাঙ্গাটারী কালীরথান বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকছে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন।
এর ফলে পাঙ্গাটারী ও রথিপুর গ্রামের সাত শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়নের এক হাজার ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত জেলার ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
নীলফামারী
নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি আরও বাড়ার আশংকায় অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছেন বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরশ্বর ও পূর্ব ছাতনাই মৌজার প্রায় ৯০০ বাড়ি কোমরপানির নিচে তলিয়ে গেছে।
“পনিবন্দি এসব মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে বলা হচ্ছে। অনেকেই বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে পরিবার-পরিজন নিয়ে।”
উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি ও পূর্বখড়িবাড়ি মৌজা প্লাবিত হয়ে দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
“পানি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে চরখড়িবাড়ি মৌজায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত দুই কিলোমিটার বালুর বাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে। বাঁধটি বিধ্বস্ত হলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।”
জেলার বুড়ি তিস্তা, দেওনাই, চাড়ালকাটা, ধাইজান, খড়খড়িয়া যমুনেশ্বরীসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি কপাটের সবই খুলে রেখে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এছারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুর্বল স্থানগুলো শক্তিশালী করতে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হচ্ছে।
বান্দরবান
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানে গত দুদিন ধরে চলা বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে শুক্রবার। তবে শহরের অনেক জায়গায় পানি জমে আছে এখনও।
বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। ভারী বৃষ্টি না হলে শনিবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে তারা আশা করছেন।
জেলা শহরের পুরবী বাস কাউন্টার ম্যানেজার প্রিয়তোষ দাশ জানান, শহর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সাবাজার ও রাঙ্গামটি রুটে গাড়ি চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে।
বুধবার কয়েকটি এলাকায় পাহাড় ধস ও সড়কে পানি থাকায় রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচির সড়কে শুক্রবারও যান চলাচল করেনি বলে পরিহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন।
নেত্রকোণা
গত কয়েক দিনের বর্ষণে হাওর অঞ্চলের জেলা নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন, কলমাকান্দা উপজেলার আটটি ও বারহাট্টার একটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।
তবে শুক্রবার বৃষ্টি কম হওয়ায় প্লাবিত এলাকা থেকে ধীরে ধীরে পানি নেমে যাচ্ছে বলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আরিফুল ইসলাম জানান।
বগুড়া
যমুনার পানি বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট পয়েন্টে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ছুঁইছুঁই করছে বলে জানিয়েছেন জেলা পাউবোর নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ।
তবে আপাতত বাঁধে ভাঙনের কোনো আশঙ্কা দেখছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।