শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ): বহু অপকর্মের হোতা ও শিশু বলাৎকার মামলার আসামি বানিয়াচং ২নং ইউপির ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয়নাল আবেদীন ওরফে বিলাল মাদ্রাসার ছাত্র বলাৎকার মামলায় জামিনে বেরিয়ে এসে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার অনৈতিক ও অসৎ আচরণের জন্য আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার যুব সমাজ থেকে শুরু করে কতিপয় বাচ্চা শিশুরা।
জয়নাল আবেদিন ওরফে বিলাল বানিয়াচং ২নং ইউপির তোপখানা মহল্লার মৃত তৈয়ব আলীর পুত্র।
জানা যায়,বিলাল মেম্বার বিগত ২০১২ সালের দিকে একটি মাদ্রাসার ছাত্রকে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদের কাছে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকারের চেষ্টা চালায়। এসময় ছাত্রটি ধস্তাধস্তি করে দৌড়ে তার লালসা থেকে নিজেকে রক্ষা করে।
অন্যদিকে ২০১৮ সালের দিকে এক স্কুল ছাত্রকে ফের বলাৎকারের চেষ্টা চালায় মেম্বার বিলাল। এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধনসহ নানা কর্মসুচী পালন করেন।
এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা আমির আলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৪) আদালতে দন্ডবিধি ৩৭৭/৫১১ ধারায় মেম্বার বিলাল মিয়াকে আসামি করেন। এই মামলায় ৬মাস জেলে ছিলো।
বর্তমানে বলাৎকার মামলায় (মামলা নং-সিআর ২৬৫/১৮ (বানি) জামিনে এসে পুনরায় আবার সেই কাজে লিপ্ত রয়েছে। তার এসব কর্মকান্ডের খবর স্থানীয় বেশকয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এই ব্যাপারে মহল্লার সর্দার বারবার তাকে সতর্ক করার পরও সে ক্ষিপ্ত হয়ে সর্দারের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। এছাড়া সর্দারের বিরুদ্ধে উস্কানিমুলক বক্তব্য দিয়ে মহল্লায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির পায়তারা শুরুর অভিযোগ রয়েছে।
বলাৎকার কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মেম্বার বিলালা মিয়ার সদস্যপদ বাতিলের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তোপখান মহল্লার সর্দার আজমল হোসেন খান।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মেম্বার বিলাল এলাকার সুন্দর সুন্দর ছেলে দেখলে তাকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করতো। ইদানিং তার এই লালসা আরো চরম আকার ধারণ করছে। কিন্তু সামাজিক বিচার আচার না মেনে কৌশলে এলাকার কিছু মানুষকে ম্যানেজ করে তার পক্ষে নিয়ে দলভারি করেছে সে। মিথ্যা কল্পকাহিনী তৈরী করে শান্তিপুর্ণ এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা করছে মেম্বার বিলাল এছাড়া ও তার বিরুদ্ধে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ারিশ উদ্দিন খানের কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার ও অভিযোগ রয়েছে।
তার এই আচরণের এলাকার যুবসমাজ থেকে শুরু করে স্কুল-মাদ্রাসা পড়–য়া শিশু শিক্ষার্থীরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখে মেম্বার বিলালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।