শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

‘রূপপুরের বালিশ হেরে গেছে ফরিদপুরের পর্দার কাছে’

বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তরফ নিউজ ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রূপপুরের আণবিক প্লান্টের বালিশকে হার মানিয়েছে ফরিদপুরের ৩৭ লাখ টাকা দামের একটি পর্দা। দুর্নীতিতে আজ বালিশ আর পর্দার কাছে হেরে গেছে। দেশে চারদিকে চলছে লুটপাট আর লুটপাট।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইফুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাইফুর রহমানের সময় সামষ্টিক অর্থনীতি সবচেয়ে ভাল ছিল। তিনি কথায় কথায় ব্যাংক দেন নি। তখন কয়েকটি প্রাইভেট ব্যাংক ছিল। তার ওপর খুব চাপ ছিল, চারদিক থেকে চাপ ছিল নতুন ব্যাংক দেয়ার। এ নিয়ে আমাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, আমিতো এটাকে একটা লুটেরা অর্থনীতিতে পরিণত করতে পারি না। আজকে প্রমাণিত হয়েছে, এরা (বর্তমান সরকার) ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংক দিয়েছে। সব কিছু থুবড়ে পড়ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকা থেকে জানতে পারলাম অর্থমন্ত্রী বলেছেন, হলমার্ককে আবারও সুযোগ দেয়া হবে। অর্থাৎ লুটেরা অর্থনীতিকে আবার লুটেরাদের হাতে দেয়া হবে। এটাই এদের মূল চরিত্র। এদের চরিত্রই হচ্ছে লুট করা। চারদিকে সব লুট করছে। এমনভাবে লুট করছে, দেশটা একটা ফোকলা দেশে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, সাইফুর রহমান দেশপ্রেমিক ছিলেন। দেশকে ভালবাসতেন। সেজন্য নিজে লাভবান হওয়ার জন্য বা দলের লোকদের লাভবান করার জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেন নি। দেশ বিক্রি করে দেন নি। আজকে সাইফুর রহমান থাকলে ওই রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতো না। রূপপুরের আণবিক প্লান্ট এভাবে তৈরি হতো না। ফরিদপুরে ৩৭ লাখ টাকায় একটা পর্দা! বালিশ কোথায়, বালিশতো হেরে গেছে। এই হচ্ছে এখন দেশের অবস্থা।

ফখরুল বলেন, সম্ভাবনাময় অর্থনীতির ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন সাইফুর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি নাকি অর্থনীতির আইডল। এটা আদর্শ, মডেল কিন্তু অতিদ্রুত বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়ে গেছে, এটা একটা ফাঁপা অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। অথচ সাইফুর রহমান, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার সময় এই অর্থনীতি ছিল দৃঢ় অর্থনীতি। তখন ইমার্জিং টাইগার বলা হয়েছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, তখন ইচ্ছে করলেই পুকুর-চুরি মেগা চুরি করা যেত না। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টে ৩০ হাজার কোটি টাকা দেয়ার সুযোগ ছিল না।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমানসহ আরও অনেকে। স্মরণসভা পরিচালনা করেন বিএনপি নেতা কাইয়ুম চৌধুরী।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com