তরফ নিউজ ডেস্ক : একাদশ সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশগ্রহণে বুধবারের আগেই ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আসন ভাগাভাগি নিয়ে রোববার ফ্রন্টের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বেলা ১২টায় মতিঝিলে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের মোস্তফা মহমিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনারা দেখেছেন যে, গত চারদিন ধরে আমরা আমাদের দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের অন্যান্য দলের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, ২০ দলেরটা হয়েছে।
“এখন আমরা এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে আনার জন্য তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা ঐক্যমতে পৌঁছাব বলে আশা করছি।”
কবে নাগাদ প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “২৮ তারিখের আগে মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেবার শেষ দিন ২৮ তারিখ। তার আগে আমরা শেষ করব।যদি প্রয়োজন হয় প্রত্যাহারের সময় থাকতে তা করতে পারব আমরা।”
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ৩০ ডিসেম্বর। এর আগে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে ফখরুল বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচনে থাকতে পারি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যদি সেখানে বড় রকমের বাধা না হয়, তাহলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।”
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার যে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন পুলিশের সামনে তাদের মিটিংয়ের মধ্যে। দ্যাট ইজ এনাফ।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “প্রত্যেকটি দল, সুশীল সমাজ- যারা নির্বাচনী কাজ করছে তারা সবাই বলছেন যে, নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত তাদের নিরপেক্ষতাকে প্রমাণ করবার জন্য এমন কিছু কাজ করতে পারেনি। আমরা গায়েবি মামলার তালিকা দিলাম, এখন পর্যন্ত তারা কিছুই করতে পারেনি। আমরা যে সমস্ত কর্মকর্তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলাম, সে সম্পর্কে সিইসি বলে দিয়েছেন বদল হবে না।
“কালকে যেটা তিনি বলেছেন অত্যন্ত মারাত্মক কথা- ‘পুলিশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে, আমাদের অধীনে আছে, যা করছে আমাদের নির্দেশেই করছে’- তাহলে যত গায়েবি মামলা, যত হয়রানি সব তাদের নির্দেশে হচ্ছে। তাহলে তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হল না। তারপরেও আমরা নির্বাচনের কাজ করছি এবং শেষ পর্যন্ত সেই লড়াই করে যাব।”
গত ১৩ অক্টোবর বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে আরো চারটি দলের সমন্বয়ে ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠনের ঘোষণা দেন। বিএনপি ছাড়া অন্য চারটি দল হল- জেএসডি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। পরে এই ফ্রন্টে যুক্ত হয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
সূত্র : বিডিনিউজ২৪