শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : রেকর্ড গড়েই ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৬ রানে জয় পায় তারা। যা টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে তাদের টানা ১২ তম জয়। এর মাধ্যমে নিজেদের গড়া আগের টানা ১১ জয়ের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে আফগানরা।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই আফগানিস্তানের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবেজের অফস্টাম্প উড়িয়ে দিয়ে দারুণ শুরু এনে দেন সাইফউদ্দিন। গুরবেজের পর দলীয় ১০ রানের মাথায় আরেক বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হজরতউল্লাহ জাজাইকে সাজঘরে ফেরত পাঠান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১ রান করা জাজাইকে লিটনের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।
দুই ওপেনারের পর সাজঘরে ফেরত যান তিন নম্বরে খেলতে নামা নজিব তারাকাই। তাকেও ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১৩ বল থেকে ১১ রান করা নজিব সাজঘরে ফেরেন সাব্বিরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। এরপর আগের ম্যাচেই ফিফটি করা নাজিবুল্লাহ জাদরানকে আউট করেন সাইফউদ্দিন।
তারপরই আফগান ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী ও আসগর আফগান। দুইজন মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। ৩৭ বল থেকে ৪০ রান করে সাইফের বলে আসগর ফেরত গেলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নবী। আফগানরা তাতে পায় ১৬৪ রানের বড় সংগ্রহ।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে সাইফের চার উইকেটের পাশাপাশি দুই উইকেট পেয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
১৬৫ রানের লক্ষ্য খেলতে নেমে বাজে শুরু করে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মুজিবের বলে তারাকাইয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমও বলার মতো কিছু করতে পারেননি।
৩ বল থেকে ৫ রান করে ফরিদ আহমেদের বলে বোল্ট হন তিনি। ১৩ বল থেকে ১৫ রান করে অধিনায়ক সাকিব এবং শূণ্য রানে সৌম্য সরকার ফেরত যাওয়ার পর বাংলাদেশকে কিছুটা আশা দেখান সাব্বির রহমান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু দলকে ভালো অবস্থানে নিতে ব্যর্থ হন তারাও। ৫৮ রানের জুটি গড়তে এই দুই জন খেলেন ৪৮ বল।
৩৯ বলে ৪৪ রান করে গুলবাদিন নাইবের বলে রিয়াদ ও ২৭ বলে ২৪ রান করে মুজিবের বলে সাব্বির আউট হন। তাদের পর মোসদ্দেক, আফিফ ও সাইফউদ্দিনরাও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২৬ রানে হারে বাংলাদেশ। আফগানদের হয়ে ৪ উইকেট পান মুজিবুর রহমান।