শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: টেন্ডারবাজি ও চাদাঁবাজি অভিযোগে যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীমকে গ্রেফতার করেছে র্যাব করেছে। রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের তার অফিস থেকে দেহরক্ষীসহ আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় জিকে বিল্ডার্সের অফিস ও শামীমের বাসা থেকে জব্দ করা হয় নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, বিদেশি টাকা ও ডলার, বিভিন্ন রকমের মাদক, একটি পিস্তল, ৬টি শর্টগান ও বিপুল পরিমাণ গুলি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) অভিযান চলাকালে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিকেতনে স্পট ব্রিফিংয়ে র্যাবের ম্যাজিষ্টেট সরোয়ার আলম বলেন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, টাকা পাচার ও বৈধ অস্ত্র দিয়ে চাঁদাবাজিতে প্রদর্শন করে হুমকির মতো অভিযোগ ছিল শামীমের বিরুদ্ধে। এ সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সকালে তার বাসায় এবং নিকেতনের অফিসে জিকে বিল্ডার্সে অভিযান চালিয়েছি। শামীম ও তার দেহরক্ষীসহ ৭ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করে র্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এ ঘটনায় আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফাওক চৌধুরী বলেছেন, গোলাম কিবরিয়া শামীম যুবলীগের কেউ নয়। তার সঙ্গে যুবলীগের কোনও সর্ম্পক নেই।
নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, জিকে শামীম নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। একই কথা বলেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
র্যাবের প্রেস ব্রিফিং
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, সুনির্দিষ্ট ও টেন্ডারবাজির অভিযোগের ভিত্তিতে যুবলীগের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের বাসা ঘেরাও করা হয়, সেখান থেকে তার ৭ জন দেহরক্ষী, অস্ত্র, শর্টগান ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে সঙ্গে নিয়ে তার অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানে ১৬৫ কোটি টাকার বেশি এফডিআর চেক পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে, বাকি ২৫ কোটি টাকা তার নামে। এছাড়া উদ্ধার হওয়া এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মধ্যে নগদ অর্থ ও মার্কিন ডলার রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলে কোনও এফডিআর থাকার নিয়ম নেই, অথচ অধিকাংশ এফডিআরই তার মায়ের নামে। শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়গুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জি কে শামীমের রাজধানীর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনে অভিযান পরিচালনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, জি কে শামীমের অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে তার মায়ের ও তার নামে বিপুল পরিমাণ এফডিআর পাওয়া গেছে। তার অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ ছিলো।
কী ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সুনির্দিষ্টি অভিযোগ ছাড়া অভিযান পরিচালনা করে না। এখন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্দোষ প্রমাণিত হলে তিনি ছাড়া পাবেন।
এফডিআরের অর্থের উৎসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, কোনও অবৈধ উৎস থেকে এ অর্থ এসেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে মানিল্ডারিংয়ের আইনের মামলা করা হবে।