বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তি কি ভাবে কামনা করেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন রাজপথে সূচনা করেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরীর রেজিস্টারি মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
যেসকল কারণে শেখ হাসিনার পতন দরকার তা গত সাতদিনে প্রকাশ পেয়েছে। মদের আসর জুয়ার আসর ক্যাসিনো। মাত্র তিন চার জনের কাছে যদি হাজার হাজার কোটি টাকা থেকে থাকে তাহলে পার্লামেন্টে যারা বসে আছে তাদের কাছে কত টাকা আছে? উন্নয়নের নামে বাংলাদেশের অর্থনীতি লুটপাট করে ধ্বংসের দার প্রান্তে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দরকার আন্দোলন। আপনারা জানেন খালেদা জিয়া কেন মুক্তি পাচ্ছে না। চোর ডাকাতরা জামিন পাচ্ছে, মুক্তি পাচ্ছে। কি কারণে তিনি মুক্তি পাচ্ছে না একটি কারণ একটি নাম শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যেই দূর্নীতিবাজদের তালিকা গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা আপনাদের নিকট দিয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করুন। আর যারা আটক হয়েছে তারা কার নাম বলেছেন তাদের নাম প্রকাশ করুন। তাদের আইনের আওতায় আনুন।
শুদ্ধি অভিযানের কথা উল্লেখ করে বাবু গয়েশ্বর বলেন, যারা আজকে সুদ্ধি অভুযানে নেমেছেন যদি দেশ প্রেমের তাগিদে নেমে থাকেন, দেশকে ধ্বংসের স্তুপের থেকে বানানোর তাগিদে নেমে থাকেন তাহলে পাশে জনগণ আছে আমরা আছি। আমরা থাকবো।
খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে, সেই মুক্তি শেখ হাসিনা দিতে পারবে না। তার আগে শেখ হাসিনাকে বিদায় নিতে হবে। খালেদা জিয়ার আটক হওয়ার পিছনে যারা জড়িত তাদের বিচার বাংলাদেশের জনগণের আদালতে হবে বলেন বাবু গয়েশ্বর।
‘আজকে সারাদেশের জনগণের একটাই দাবি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, শেখ হাসিনার পতন চাই, শেখ হাসিনার পতন চাই।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।