শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাহুবলে হাইওয়ে পুলিশ ও সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হাইওয়ে থানার ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য ও সিএনজি অটোরিক্সার ১২-১৩ শ্রমিকসহ উভয় পক্ষের অন্ততঃ ২০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলা মিরপুর বাজার বিশ্বরোড পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি লিয়াকত হোসেন, এসআই মাসুক মিয়া, এএসআই হাবিবুর রহমান, কনষ্টেবল মো: রিফাত, আমিনুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নিশান কান্ত দেবকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলে বেশ কিছুদিন ধরে চলন্ত গাড়ীতে লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে হামলা করে গাড়ী ভাংচুর করে বাঁধা দিয়ে আসছিল হাইওয়ে থানা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুর বাজারের বিশ্বরোড পয়েন্টে দুটি সিএনজি অটোরিক্সাকে লাঠি দিয়ে হামলা করে ভাংচুর করে আটক করে হাইওয়ে থানা পুলিশ। সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর করে আটক করার খবরটি মুহুর্তেই স্থানীয় শ্রমিকদের মধ্যে জানাজানি হলে শ্রকিকরা জড়ো হয়ে পুলিশের কাছ থেকে সিএনজি অটোরিক্সা ছাড়িয়ে নিতে গিয়ে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৭ পুলিশ সদস্য সহ অন্ততঃ ২০ জন আহত হন। এক পর্যাায়ে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আহতদের চিকিৎসা নিতে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে যায়।
পরে খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বাহুবল অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, গাড়ী ভাংচুর করে সিএনজি অটোরিক্সা আটক করে থাকলেও পুলিশের ওপর হামলা করে শ্রমকিরা মারাত্মক অন্যায় করেছে। এর জবাব দেওয়ার মতো ভাষা আমার জানা নেই।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি লিয়াকত হোসেনকে বারবার ( ০১৭৩৩ ২৩১৯১৭) ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সংঘর্ষের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ব্যস্ত থাকায় কতজন পুলিশ আহত হয়েছেন তা জানতে পারিনি।