বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১০ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না খালেদা জিয়া। হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের মাধ্যমে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রির নির্বাচনে অংশ নেয়া এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।
হাইকোর্টের দেয়া রায়ের আদেশে বলা হয়েছে, বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি সাজা হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিকে বিএনপি আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তিন আসনে বিকল্প প্রার্থী রেখেছে। দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না বিষয়টি মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় দলটির পক্ষ থেকে এমনটাই মনে করা হয়েছে।
সাজার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিল বিভাগে এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিল বিচারাধীন রয়েছে। তার সাজা স্থগিত হলে কিংবা আদালত নির্বাচন করতে পারবেন বলে আদেশ দিলেই তিনি নির্বাচন অংশ নিতে পারবেন। সে পর্যন্ত বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেওয়ার লক্ষে বেগম খালেদা জিয়া এবার মনোনয়ন পেয়েছেন ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে।
জানা গেছে, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন দুটি থেকে তার পক্ষে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু দলটির মহাসচিবের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করেন।
আর ফেনী-১ আসনে বেগম খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসেবে রয়েছেন রফিকুল আলম মজনু। তিনি ঢাকা মহানগর যুবদল দক্ষিণের সভাপতি। তার বাড়ি ফেনীতে। এছাড়া নূর মোহাম্মদ নামে আরও একজন প্রার্থী রয়েছেন।
শোনা যাচ্ছে, শেষ মুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের কেউ বা সিনিয়র কোনো নেতাকে সেখান থেকে প্রার্থী করা হতে পারে।
জানা যায়, বগুড়া-৬ আসনে মাহবুবুর রহমান ও ভিপি সাইফুল বিকল্প প্রার্থী রয়েছেন। বগুড়া-৭ আসনে হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, মোর্শেদ মিলনের কেউ খালেদার বিকল্প হতে পারেন। শোনা যাচ্ছে, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাকেও বিকল্প প্রার্থী করা হতে পারে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের সাজা পাওয়ার পর ওই দিনই কারাগারে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরে আপিলের পর গত ৩০ অক্টোবর উচ্চ আদালত তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। এর আগের দিন ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে বরাবরই নির্বাচন করে জয়ী হয়ে আসছেন। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে নির্বাচিত হন বেগম খালেদা জিয়া। তবে প্রতিবারই আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় উপনির্বাচন হয়েছে। তবে বরাবরই বগুড়া ৬-এ সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।
সূত্র : বিডি২৪লাইভ