তরফ নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। কার্তিকের প্রথমার্ধের এমন আবহাওয়া আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
হেমন্তের শুরুতে হালকা বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কম হওয়ায় ঠাণ্ডা অনভূত হচ্ছে। তবে এই বৃষ্টি শেষে তাপমাত্রা আবার বাড়বে এবং নভেম্বরের মাঝামাঝিতে গিয়ে শীতের প্রভাব পড়বে বলে আবহাওয়াবিদরা বলছেন।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ পারভীন জানান, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের অদূরে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।
তিনি জানান, এ লঘুচাপের প্রভাবে জলীয় বাষ্প সৃষ্টি হচ্ছে। এ সময় মেঘ বাংলাদেশের ওপর বয়ে যাচ্ছে। সে কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি রয়েছে। আরও দুই-এক দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে বিরাজমান লঘুচাপ আর নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা নেই বলে মনে করছেন শাহনাজ পারভীন।
তিনি বলেন, “দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমলেও পরিবেশে শীতের আমেজ আসতে আরও মাস দেড়েক অপেক্ষা করতে হবে।”
নভেম্বর-ডিসেম্বরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, নভেম্বরে দিন-রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। বঙ্গোপসাগরে দুয়েকটি নিম্নচাপও সৃষ্টি হবে, যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ডিসেম্বরের শেষার্ধে উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি ধরনের (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়।
এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি ছিল খুলনায়, ৫১ মিলিমিটার।
শুক্রবারের পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
(সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)