শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন
সাহিদা সাম্য লীনা, ফেনী : মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় আদালত ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার বাবা একেএম মুসা। রায় শুনে এজলাস কক্ষেই কেঁদে ফেলেন তিনি। বিচারে সন্তুষ্ট হয়েছেন জানিয়ে নুসরাতের বাবা একেএম মুসা দ্রুত তদন্ত শেষ করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘সাড়ে ছয় মাস ধরে আমাদের পরিবারে সদস্যরা কাঁদছি। প্রতিনিয়ত আমাদের নির্ঘুম দিন কাটছে। তবে ওই কান্না আর আজকের কান্নার মধ্যে তফাৎ আছে। এই কয়টা মাস এ দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেছিলাম। নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছি। আজ সব আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। এ রায়ে নুসরাতের আত্মা আজ শান্তি পাবে।’
এ সময় মামলার বাদী ও নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, ‘আমরা সুবিচার পেয়েছি। তবে রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছি না।’ মাহমুদুল হাসান নোমান ও তার ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান কাঙ্ক্ষিত রায় পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কথা জানিয়ে নুসরাতের বাবা বলেন, ‘সব আসামির ফাঁসির রায় হওয়ায় তাদের অনুসারীরা এখন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যেকোনো ধরনের অপরাধ ঘটাতে পারে। তাই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’