শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৬ নভেম্বর। এর আগে ১১ ও ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ দুই শাখা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন। সম্মেলন ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। নানা কারণে যারা দুর্নাম কুড়িয়েছে, এমন নেতারা এবার বাদ পড়বেন বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্মেলন উপলক্ষে সকাল-বিকাল ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীদের বাসায় ভিড় করছেন নেতাকর্মীরা। শীর্ষ নেতৃত্বের চোখে পড়ার জন্য পদপ্রত্যাশী নেতারা বিশাল শোডাউন নিয়েও কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভিড় করছেন। নানামুখী স্লোগানে মুখরিত করে তুলছেন তারা।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি পদের লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন এডভোকেট গোপাল চন্দ্র সরকার। এছাড়া দক্ষিণের সভাপতি প্রার্থী হবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক তারিক সাঈদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার। এ ছাড়াও সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য লড়বেন আরও প্রায় ডজন খানেক নেতা।
জানা গেছে, গোপাল চন্দ্র সরকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক দুই বারের সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক।
জানা যায়, গোপাল চন্দ্র সরকার ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের রাজপথের অগ্রসৈনিক। ১৯৯১ সালে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের মনোনীত এ জি এস পদপ্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে হরতালের মিছিল করতে গিয়ে পুলিশ কর্তৃক প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গ্রেফতার ও চরম নির্যাতনের শিকার হেন। ২০০১ সালে জননিরাপত্তা আইনের মামলায় ফের গ্রেফতার হন তিনি। ২০০২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান থেকে আবারও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। ২০০৪ সালে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনেও ভূমিকা পালন করেন তিনি।
দক্ষিণের সভাপতি প্রার্থী গোপাল সরকার বলেন, চরম দুর্দিনে কাজ করেছি, কারাবরণ করেছি, নির্যাতিত হয়েছি, জেলে বসে পড়াশোনা করে এলএলবি শেষ করেছি। নিজেও শিক্ষিত হয়েছি, কর্মীদেরও সুশিক্ষিত করেছি। তাই যদি প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব দেয় তাহলে চাঁদাবাজ, জুলুম, দখলবাজ, অস্ত্রবাজ মুক্ত কমিটি করব এবং অনুপ্রবেশকারী মুক্ত রাখব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং দক্ষিণের সভাপতি প্রার্থী তারিক সাঈদ বলেন, বিএনপি জামায়াতের দুঃশাসনের সময়ে যারা ভূমিকা রেখেছেন এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের অভিযোগ নেই, আশা করি এই সম্মেলনে যারা ক্লিন ইমেজের ত্যাগী এবং রাজপথে যাদের ভূমিকা রয়েছে এমন নেতৃত্ব আসবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বলেন, আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী। সকল পরিস্থিতিতেই আমি দলের জন্য কাজ করে গিয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে দায়িত্ব দেন, তাহলে আমি অবশ্যই এই দায়িত্ব সততার সঙ্গে পালন করব।