শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

সাতছড়িতে র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর ফের অভিযান, রকেট লঞ্চারসহ বিস্ফোরক উদ্ধার

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে উদ্ধারকৃত রকেট লঞ্চার।

নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ফের অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন। টানা দুই দিনের অভিযানে ১৩টি রকেট লঞ্চারসহ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মশিউর রহমান জানান, শনিবার দুপুরে অভিযান শেষ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে র‌্যাব-৭ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের একটি দল সাতছড়িতে অবস্থান নেয়। তারা সকাল থেকেই জাতীয় উদ্যানের ভেতর গহিন বনে অভিযান শুরু করে। দিনব্যাপী এ অভিযান চলে। রাতে অভিযান বন্ধ রাখা হয়। শনিবার সকাল থেকে ফের অভিযান শুরু করা হয়।

র‌্যাব জানায়, দুই দিনব্যাপী অভিযানে গহিন বনের ভেতর থেকে ১৩টি (আরপিজি সেল) রকেট লঞ্চার উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, র‌্যাব অভিযানের আগে থানায় জানায়নি। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে তারা থানায় একটি জিডি করেছে। র‌্যাবের এসআই সোহেল এ জিডি করেন। উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক দ্রব্যাদি ধ্বংস করতে তারা আদালতে আবেদন করেছে। তিনি বলেন, ‘তবে অভিযানের খবর পেয়ে সেখানে আমিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছুটে যাই। তাদের সাথে কথাও বলেছি। আমরা বনের বাইরে ছিলাম। তারা জানিয়েছেন, সাতছড়ির বনের প্রায় ৫ কিলোমিটার ভেতরে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের টিমে ৩০ জন সদস্য ছিলেন।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেন র‌্যাবের সদস্যরা।

এরপর ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিন গান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।

২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আবারও সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com