শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্গত ২৩নং মনমথুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পুকুর লীজের টাকা, গাছ কর্তন, অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার, নানা অনিয়ম ও অপকর্মের দায়ে তার অপসারণ ও স্থানান্তরের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন জানিয়েছেন উক্ত বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হামদু মিয়া। গত পহেলা অক্টোবর এলাকাবাসীর স্বাক্ষর নিয়ে এই আবেদন করেন তিনি।
আবেদন ঘেটে জানা যায়, বনমথুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যালয় মাঠে কয়েকটি গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এর ফলশ্রুতিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিচালনা কমিটির অজান্তেই রাতের আধারে নিলাম ব্যতিত তিনি অন্যত্র সরিয়ে নেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা। অদ্যবধি পর্যন্ত এই গাছগুলোর কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। কোনো উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা জনপ্রতিনিধি বিদ্যালয় পরিদর্শনের জন্য আসলে প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম তাদের সাথে অপমানজনক ব্যবহার করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এলাকার সহজ-সরল অভিভাবকদের সাথে তিনি যাচ্ছেটাই ব্যবহর করেন মনিরুল ইসলাম।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পুকুর বিগত বিশ বছর যাবত অবৈধভাবে লীজ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার কয়েকটি দাঙ্গা-হাঙ্গামার আসামি এই প্রধান শিক্ষকের এহেন হীন মানসিকতা, অপকর্ম ও দুর্ব্যবহারে এলাকার সর্বস্তরের জনগন অতিষ্ঠ্য হয়ে পড়েছেন।
কোমলমতি শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত জীবন ও বিদ্যালয় সুষ্ট পরিচালনার লক্ষ্যে প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের দ্রুত অপসারণ বা অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগের অনুলিপি বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,উপজেলা শিক্ষা অফিসার,অফিসার ইনচার্জ ও জেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বনমথুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকারের সাথে কথা কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি ট্রেনিংয়ে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে কথা হয় জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রেজ্জাকের সাথে। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, এ ব্যাপারটি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছেন। এই নোটিশের জবাব এখনো আমাদের হাতে আসেনি। হাতে আসলে তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।