বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

এমপি লিটন হত্যায় ৭ জনের ফাঁসি

আসামি আবদুল কাদের খান (জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ) কে পুলিশি প্রহরায় আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তরফ নিউজ ডেস্ক : গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খানসহ সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিকের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ দুটি মামলা করে। অস্ত্র মামলায় একমাত্র আসামি ওই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আবদুল কাদের খানকে গত ১২ জুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত আর হত্যা মামলাটির রায় হলো বৃহস্পতিবার।

এদিকে, রায়কে ঘিরে গাইবান্ধার আদালত প্রাঙ্গণে বিশেষ নিরাপত্তা নিয়েছে গাইবান্ধা পুলিশ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোর ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কেউ কোনো ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করতে পারবে না। এছাড়া এমপি লিটন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে শত শত মানুষ ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সারিবদ্ধভাবে আদালতের সামনে সকাল থেকে অবস্থান নেয়।

গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা মো. শফিউল ইসলাম জাগরণকে বলেন, চোরাগুপ্তা হামলা প্রতিরোধে গাইবান্ধার স্পর্শকাতর স্থানগুলোর অলি-গলিতে পুলিশের সরব উপস্থিতি থাকবে। অলিগলির মুখে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় যাত্রীবাহী বাসগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি রাখতেও পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশও নাশকতা ও অরাজকতা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

উলেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১ আসনের তৎকালীন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।

এ ঘটনায় পরের দিন সন্ধ্যায় প্রথমে অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে তার বড় বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকুলী। তদন্ত শেষে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খাঁনসহ ৮ জনের বিরদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

২০১৭ সালের ২১ ফেব্রয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় কাদের খাঁনকে। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়ি চালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন ও রানাও মামলার আসামি হিসেবে একই কারাগারে বন্দি আছেন। আরেক আসামি শ্রী সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে মারা গেছেন। পলাতক আছেন আসামি শ্রী চন্দন কুমার রায়।

মামলার আসামি ও বাদী পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে গত ১৮ নভেম্বর। এরপর রায় ঘোষণার জন্য আদালত আজ (২৮ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে দায়ের অস্ত্র আইন মামলায় গত ১১ এপ্রিল আবদুল কাদের খাঁনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com