মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে উগ্রবাদিতা, সন্ত্রাসবাদ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিধারণকারী বাংলাদেশের সাফল্য এবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল।
সম্প্রতি প্রকাশিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে গত বছরের চেয়ে ৬ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এই সূচকে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম। গত বছর যা ছিল ২৫ নম্বরে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস প্রতি বছর সন্ত্রাসবাদমূলক এই পরিসংখ্যান সূচক প্রকাশ করে। এবারও ‘গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স-২০১৯’ নামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে তারা।
চলতি বছরের সূচকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ পরিস্থিতিকে ৭টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো- খুব বেশি, বেশি, মাঝারি, কম, খুব কম, কোনো প্রভাব নেই এবং হিসাবে আনা হয়নি। এই ৭টি ভাগের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ৩১টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারায় ৭ জন। ২০১৭ সালের তুলনায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের পরিমাণ কমেছে ৭০ শতাংশ।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে শীর্ষ দশে থাকা দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, ইরাক, নাইজেরিয়া, সিরিয়া, পাকিস্তান, সোমালিয়া, ভারত, ইয়েমেন, ফিলিপাইন এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। অর্থাৎ, ২০১৮ সালে এই দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। সূচকে বাংলাদেশের মতো ৬ ধাপ উন্নতি হয়েছে শ্রীলঙ্কারও। বর্তমানে তাদের অবস্থান ৫৫ নম্বরে। এ ছাড়া ভুটান (১৩৭) ও নেপাল (৩৪) সূচকে উন্নতি করেছে।
অন্যদিকে, ভারতের এক ধাপ অবনতি হওয়ায় ৭ নম্বরে আছে। আর পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। তাদের অবস্থান ৫। বর্তমানে শীর্ষে থাকা আফগানিস্তানের অবস্থান আগের চেয়ে এক ধাপ অবনতি হয়েছে।
এই তালিকা অনুসারে বিশ্বের সবচেয়ে কম সন্ত্রাসবাদীতার ঝুঁকিতে থাকা রাষ্ট্রটি হচ্ছে মাদাগাসকার।