বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা নিবন্ধন পাবে না, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কয়েকশত অনলাইন নিউজ পোর্টালের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখেছে। সরকার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখে আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন দেয়া শুরু করবে। তথ্যমন্ত্রী আজ তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান ব্রিফিংয়ে জানান, নিবন্ধনের জন্য মোট ৩,৫৯৫টি নিউজ পোর্টাল আবেদন করেছে। আবেদনকারীদের দেয়া তথ্য ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার জন্য সকল আবেদনপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। আমরা স্বরাষ্ট্র, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং পরে আমরা স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ সকল আবেদন পত্রের সঙ্গে দেয়া সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই করে দেখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধমে অনলাইন মিডিয়া চালু করা হবে। নিবন্ধন ছাড়া কেউ অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালাতে পারবে না। তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ অনুযায়ী ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই সেক্টরে কোন প্রকার অনিয়ম দেখলে সরকার ব্যবস্থা নিবে।
ড. হাছান বলেন, কয়েকটি টিভি চ্যানেল বিদেশী টিভি সিরিয়াল বাংলায় ডাবিং করে সম্প্রচার করছে। ডাবিংকৃত অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। পুরো বিষয়টি দেখভাল করার জন্য একটি রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব মামুনুর রশীদ এবং বেগম সারা জাকের, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক অথবা বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন প্রতিনিধি, জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক, টেলিভিশন চ্যানেল মালিক ও পরিচালক এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং অভিনয় শিল্পী সংস্থার প্রতিনিধি এই কমিটিতে থাকবেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ক্যাবল অপারেটররা বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলের সিরিয়াল বজায় রেখেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের ভালর জন্য আমরা ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছি। এ সকল পদক্ষেপের অধিকাংশই টিভি চ্যানেলগুলো মেনে চলছে। অপর এক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দিয়েছে শুধুমাত্র মোবাইল নেটওর্য়াক পরিচালনার জন্য। অথচ তারা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করছে, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সরকার বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি কাউকে ভিডিও কনটেন্ট করার লাইসেন্স দেয়নি। আমরা ইতোমধ্যেই এ সকল বিষয় বন্ধ করার জন্য টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। আমরা এই সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ বিষয়ে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অনেক সংবাদপত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং টেলিভিশন চ্যানেল তাদের নিজস্ব অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে ভিডিও কনটেন্ট দেখাচ্ছে। এটিও গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এ সব আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হতে পারে এক মাত্র আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। খালেদা জিয়া একটি দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এখন কারাগারে বন্দি আছেন। তাকে কেবল আদালত মুক্তি দিতে পারে।
বিএনপি সবসময় খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছে। তার মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের হাতে। এখানে অন্য কোন পথ খোলা নেই।