সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৩ কলম্বিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বাহুবলে স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণের জন্য জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাহুবলে দুই মাস ধরে নিখোঁজ রবিউলের সন্ধান চায় পরিবার যে কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি দেয় সোহাগ ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেপ্তার পিএসসির প্রশ্নফাঁস: দায় স্বীকার করে ৭ জনের জবানবন্দি, ১০ জন কারাগারে দেশের সম্পদ বেচে মুজিবের মেয়ে ক্ষমতায় আসে না: প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে বাহুবলে মানববন্ধন

ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও রায় লেখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ফাইল ছবি।

তরফ নিউজ ডেস্ক : ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও মামলার রায় লেখার বিষয় বিবেচনার জন্য বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় বিচারকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জনগণ এবং সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। সবাই যেন বিচার পায় সে ব্যবস্থা করবেন।

তিনি বলেন, নুসরাত হত্যাসহ সম্প্রতি বেশকিছু চাঞ্চল্যকর হত্যার বিচার দ্রুত হওয়ায় বিচার বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা অনেকগুণ বেড়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরে জাতিকে একটি সংবিধান দিয়েছেন। সে সংবিধানে মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকারের কথা বলা আছে। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং আইনের কথা স্পষ্ট করে বলে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। একের কাজে অন্যের হস্তক্ষেপ শান্তি ও ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, আসামি আনা-নেয়ায় ঝুঁকি কমাতে ভার্চুয়াল কোর্ট স্থাপনের চিন্তা রয়েছে সরকারের।

তিনি বলেন, ‘শান্তি ও উন্নয়নের জন্য ন্যায়বিচার’ এই প্রতিপাদ্যে আজকের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিপাদ্যটি খুবই যুগোপযোগী। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশে আইনের শাসন অনুপস্থিত ছিল।

ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল। দেশে ফিরে আমি মামলা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি। তখন এমন একটা শাসন ছিল যেন খুনিদের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন তারা রাজাকার-আলবদর-আলশামস খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন। যারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এমনকি ভোট চুরি করে তাদের বিরোধী দলের চেয়ারে বসানো হয়েছে। আমরা যারা বাবা-মা হারিয়েছি তারা বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি কিন্তু বিচার পাইনি। ২১ বছর পর যখন আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এলো তখন আমরা বিচারহীনতার প্রথা বাতিল করি। দেশের মানুষ যেন বিচার পায় সে ব্যবস্থা করি। পঁচাত্তরের পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন তাদের অবৈধ বলে রায় দেওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিচারপতিদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন।

তিনি আরও বলেন, এসব রায়ের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়েছে, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার সবার সমান। মামলাজট যাতে কমে যায় সাধারণ মানুষ যেন বিচার পায় সেজন্য বিচার বিভাগের উন্নয়নে আমরা অনেক কাজ করে যাচ্ছি। প্রত্যেকটা আদালতে বিচার পরিচালনার জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছি। অধিকসংখ্যক বিচারক নিয়োগ দিয়েছি এবং আরো অধিকসংখ্যক বিচারক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বিচারকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছি। গাড়ি এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলোও নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি ও সচিব গোলাম সরোয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোহাম্মদ আলী আকবর।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্টের বিচারপতি এবং সারাদেশ থেকে আগত বিচারকরা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com