মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
রায়হান ইউ সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) : বানিয়াচং-হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের শরীফ উদ্দিন আহমেদ সড়কের কাছাকাছি স্থানে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশায় থাকা যাত্রী জায়েদ মিয়া (৭) নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
নিহত জায়েদ মিয়া আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের হুমায়ুন মিয়ার পুত্র। অপরদিকে এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জায়েদের মা করিমা বেগম, চাচি কিলকিস আক্তার ও তার চাচাতো ভাই আবুল কাশেম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশের এসআই গোপাল কৈরিসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত জায়েদের মরদেহ উদ্ধার করে বানিয়াচং থানায় নিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার (১২ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে চারটায় উল্লিখিত স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জায়েদের বাবা হুমায়ুন মিয়া জানান, আমার স্ত্রী করিমা বেগম ভাবি বিলকিস আক্তার, ছেলে জায়েদ মিয়া ও ভাতিজা আবুল কালামকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশা যোগে হবিগঞ্জের শাহপুর গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য রওয়ান দেয়। পতিমধ্যে বানিয়াচং-হবিগঞ্জ রোডের শরীফ উদ্দিন আহমেদ রোডের কাছাকাছি যাওয়া মাত্রই হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ইট বোঝাই ট্রাক ( হবিগঞ্জ-ড/১১০০৯৭) সিএনজি অটোরিকশাকে ট্রাকের সামনের ডানদিক ধেকে ধাক্কা দেয়। ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে আমার ছেলে জায়েদের মাথার মগজ ছিটকে রাস্তার উপরে পরে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে দুর্ঘটনার পর নিহত জায়েদের মাথার মগজ রাস্তার উপর পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ আসার পর মাথার মগজ কুড়িয়ে দুর্ঘটনায় কবলিত অটোরিকশাতে তোলে দেয়া হয়। অন্যদিকে নিহত জায়েদের মা করিমা বেগমের দুই পা ভেঁঙ্গে গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ ঘটনায় অটোরিকশাতে থাকা অপর যাত্রীরা আহত হন। তাদেরকে আশপাশের মানুষ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়।
বানিয়াচং থানার ওসি রঞ্চন কুমার সামন্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ট্রাক ও অটোরিকশা চালকরা পালিয়ে গেলেও গাড়িগুলো আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি নিহত জায়েদের মরদেহও আনা হয়েছে। ঘাতক ট্রাক চালককে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।