বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৩ কলম্বিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বাহুবলে স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণের জন্য জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাহুবলে দুই মাস ধরে নিখোঁজ রবিউলের সন্ধান চায় পরিবার যে কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি দেয় সোহাগ ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেপ্তার পিএসসির প্রশ্নফাঁস: দায় স্বীকার করে ৭ জনের জবানবন্দি, ১০ জন কারাগারে দেশের সম্পদ বেচে মুজিবের মেয়ে ক্ষমতায় আসে না: প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে বাহুবলে মানববন্ধন

বানিয়াচং পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ওড়ানো হয় না জাতীয় পতাকা

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) : পতাকা শুধু এক টুকরো কাপড় নয়, এটি স্বাধীন সার্বভৌমত্বেও প্রতীক। একটা স্বাধীন দেশে জাতির বহু কষ্টে অর্জিত নিজনিজ দেশের জাতীয় পতাকা আলাদা পরিচয় বহন করে। তেমনি আমাদের এই দেশে ৩০ লাখ মানুষের আতœত্যাগ ও ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রম হারানোর পর অর্জিত এই লাল সবুজের পতাকা ধারণ করে বাঙ্গালি জাতির আত্মঅহংকার তথা ভালোবাসার প্রতিফলন। সব স্বাধীন দেশের পতাকা নির্ধারণের নেপথ্যে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আত্মত্যাগের বীরত্ব কাহিনী কম-বেশি জড়িত। জাতীয় পতাকার ইতিহাসের সাথে মুক্তিযুদ্ধ জড়িয়ে আছে বলেই এর প্রতি আমাদের আবেগটাও অন্যরকম। আর এই পতাকাকে যদি আমরা সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করতে না পারি তাহলে আমাদের মধ্যে কিসের ইঙ্গিত বহন করে সেটার ভাবার বিষয়।

সরকারি-আধা সরকারি অফিসে শুধুমাত্র ছুটির দিন ব্যতিত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর বিভিন্ন দিবস এলে তো কোনো কথা ই নাই। সর্বত্র চোখে পড়ে এই জাতীয় পতাকা উত্তোলন। কিন্ত বানিয়াচং পল্লীবিদ্যুতের জোনাল অফিসের জন্য যেন রয়েছে আলাদা অদ্ভুথুরে নিয়ম। এই অফিসে জাতীয় পতাকা ওড়ানো তো দুরের কথা সরকারি কোনো দিবসেও চোখে পড়েনি বহু কষ্টে অর্জিত লাল সবুজের এই পতাকা উত্তোলন।

সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার অত্র অফিসে গিয়ে দেখা যায়নি কোথাও জাতীয় পতাকা ওড়ছে। চোখে পড়েনি এই পতাকা ওড়ানোর চিহ্নও। যদিও এই অফিসটি সরাসরি সরকারের আওতায় না তারপরও একটা অফিসে জাতীয় পতাকা থাকবেনা সেটা খুবই বেমানান। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বানিয়াচংয়ের যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ নমীর আলীর সাথে। তিনি জানান, ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। একটা আধা সরকারি অফিসের জাতীয় পতাকা কেন ওড়ানো হয়না সেটা মেনে নেয়া যায়না। এটা পুরো বাঙ্গালি জাতির সাথে তামাশা।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বানিয়াচং পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসেনের সাথে। তিনি জানান, আমাদের নরমালি অফিস গুলাতে শুধু বিশেষ দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রতিদিন পতাকা উত্তোলন হয়না। এই অফিসে আমি আসার পর থেকে পতাকা উত্তোলন করতে দেখিনি। তবে পতাকা যে উত্তোলন হয়না সেটা ঠিক আছে। আামদের অফিসে প্রতিদিন পতাকা উত্তোলন করতে হবে আমি এইরকম কোনো নির্দেশনা আজ পর্যন্ত পাইনি।

তবে এই বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকারের সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, সকল সরকারি এবং বেসরকারি অফিসে অবশ্যই সরকারি কর্ম দিবসে পতাকা উত্তোলন করতে হবে সেটা জাতীয় পতাকা আইনে লেখা আছে। আর যদি না করে থাকে তাহলে বুঝা যাবে তার ভিতরে অন্য কিছু আছে। জাতীয় পতাকা অবমাননার শামিল। কৈফিয়ত চাওয়া হবে ওই ডিজিএমের কাছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com