বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : কনকনে ঠান্ডার সাথে মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়েছে থেমে থেমে বৃষ্টি। দেশের অনেক এলাকাতেই রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে, গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ভোগান্তি কমেনি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের দাপটে সবচেয়ে বেশি কষ্টে দিনমজুর-ছিন্নমূল মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।
ঢাকার পাশাপাশি যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে থেমে থেমে, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। হালকা বৃষ্টিপাত আরও দু’এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে।
হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ। আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিশু আর বৃদ্ধ।
আকষ্মিক এই বৃষ্টিপাত শেষে শীত আরও জেঁকে বসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
হঠাৎ শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বৃদ্ধ ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে। কারণ শীতে রোটা ভাইরাস সক্রিয় হয়। এ কারণে শিশুদের ডায়রিয়া রোগ দেখা দিচ্ছে। ৫৫ শতাংশই রোটা ভাইরাসের সংক্রমিত। ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের ৫ বছরের কম বয়সীরাই বেশি। তবে ২ বছরের কম বয়সীরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
চিকিৎকদের মতে, ঠান্ডার প্রকোপে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী বেড়েছে। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ-আইসিডিডিআরবিতে প্রতিদিনই শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। প্রায় ৬০০ শিশু প্রতিদিন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় অর্ধশত শিশু আইসিডিডিআরবিতে চিকিৎসা নিতে আসছে।
আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী স্বাভাবিকভাবে ভর্তি হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে ৬৫০ থেকে ৭০০ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই শিশু। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যাই বেশি। ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিভাবকরা তাদের ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে প্রতিদিন এই হাসপাতালে আসছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরে হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী, ঠান্ডাজনিত রোগে গত দু’মাসে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লাখ। আর মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ জনের।