মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) : বানিয়াচংয়ের হাটবাজারে শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। কিন্তু সে অনুযায়ী দাম কমছে না। যদিও কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দামে যে আগুন ছিল,তার উত্তাপ কিছুটা হলেও কমেছে। মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, টমেটোসহ কিছু সবজির দাম আগের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমলেও বেশিরভাগ সবজির দাম এখনও চড়া রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা সদরের নতুনবাজার, বড়বাজার, আদর্শবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গতকাল বাজারে মরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায় যা গত সপ্তাহের দামের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা কম। আগের সপ্তাহে ফুলকপি ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল কেজিতে ১০ কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে আগের সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা কমে মিলছে বাঁধাকপি ও মুলা। বাঁধাকপি ৫৫ এবং মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। ৮০ টাকা দামের শিম ৬০ থেকে ৭০ টাকায় মিলছে। খুব অল্প হলেও বাজারে নতুন কাঁচা টমেটো আসায় দাম কমেছে কিছুটা। গত সপ্তাহের ১০০ টাকা দামের টমেটো গতকাল মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।
তবে বেগুন, বরবটি, কাঁকরোল, চিচিঙ্গা,কচুর লতি, মিষ্টি কুমড়া, আলু, পটল, বিভিন্ন শাক আগের চড়া দামেই বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও কেজি প্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০, কচুর লতি ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, কাকরোল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, দেশি আলু ৪৫ টাকা, মাঝারি সাইজের এক আঁটি মিষ্টিকুমড়া শাকের দাম ৩৫-৪০ টাকা, এক আঁটি লালশাক ৩০, মুলাশাক আঁটিপ্রতি ২০, পুঁই শাক আঁটি প্রতি ৩০ এবং জোড়া আঁটি কলমী শাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ হেলাল এই প্রতিবেদককে বলেন, এখন বাজারে আগের চেয়ে বেশি শাক-সবজি আসছে। তাই ধীরে ধীরে দামও কমতে শুরু করেছে। সবজি আসার পরিমাণ বাড়লে আরও কমবে দাম।
বিক্রেতা সবজির দাম কমার দাবি করলেও ক্রেতা মো. রেজাউর রহমান বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ প্রচুর। এমন সময় কোনো সবজির দামই ৫০ টাকার উপরে থাকার কথা নয়। অথচ বিক্রেতারা সবজির দাম কমাতে গড়িমসি করছে।
এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা, পাকিস্তানী লাল মুরগি ২৩০-২৪৫ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩৫০-৩৬০ এবং হাড়সহ গরুর মাংস ৫০০ থেকে ৫৫০, হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস কেজি প্রতি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মাছের সরবরাহ আগের চেয়ে কিছুটা বাড়ায় দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। মাঝারি সাইজের রুই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, কাতলা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি আকার ভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০,পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।