বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

বানিয়াচংয়ে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালকদের দৌরাত্ম

ফাইল ছবি।

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) : বানিয়াচং সদরসহ উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিদিন প্রায় শতাধিক বখাটে বেপরোয়া মোটরসাইকেল ড্রাইভ করছে চালকরা। উঠতি বয়সী কিশোর, যুবক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা এমন বেপরোয়া বাইক চালিয়ে পথচারীসহ স্কুল কলেজ গামী ছাত্র ছাত্রীদের করছে বিরক্ত। এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুসহ বৃদ্ধরাও। এমন ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রশাসনের কোন নজরদারী চোখে পড়ছেনা।

বানিয়াচং উপজেলার এক শ্রেণির উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা মোটরবাইকে চড়েই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সময় হাতে না নিয়ে দ্রুত কর্মস্থল বা কাঙ্খিত স্থানে পৌছতে অনেকে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালান। অনেক সময় এর আরোহীর সংখ্যা দুইয়ের বেশি হয়। আবার চালানোর সময় কানের মধ্যে মোবাইল ফোনেরও কথা বলেন চালকরা।

বানিয়াচংয়ে গুরুত্বপুর্ণ রাস্তা সহ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় খুব দ্রুত গতিতে আক্রমনাত্বক ভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করছে এরা। বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে এসে বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে শিক্ষার্থীদের নজরে আসার চেষ্টা করে বাইক চালকরা। এমন বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে নিজে যেমন দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে তেমনি পথচারীদেরও প্রতিনিয়িত করছে আহত। মোটরবাইক রেসের মত চালকদের হেলে দুলে চালানোর দৃশ্য দেখে মানুষ হতভম্ব হয়ে যান। জনবহুল এমনকি হাট-বাজারে এসে কানের কাছে জোরে গাড়ির হর্ণ বাজিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চালকরা। বেশিরভাগ এসব বাইক চালকরা সমাজের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হওয়ায় তাদের কেউ কিছুই বলে সাহস পায়না। এদের অধিকাংশরই নেই যান চলাচলের ড্রাইভিং লাইসেন্স। নেই গাড়ির সঠিক কাগজপত্ররও। এরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এবং রাজনৈতিক পরিচয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কেউই এদের ব্যাপারে মুখ খুলে কিছু বলে না, প্রতিবাদও করেনা। আড়ালে তাদের ঘৃণা আর অভিসম্পাত করেই নীরব থাকে ভুক্তভোগী মানুষ।

গত সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বাইক দূর্ঘটনায় আহতের ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ কেন এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না বিষয়টি অনেকেরই বোধগম্য নয়। পথচারী রুমান আহমেদ জানান,মোটরসাইকেল চালকদের কিসের যেন তাড়া থাকে। তারা একটু সময় কোথাও দাঁড়াতে রাজি নয়। বরং সময বাঁচাতে তীব্র হর্ন দিয়ে বেপরোয় গতিতে রাস্তার উপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালায়। এদের এই দৌরাত্ম বন্ধ করতে তিনি আদালতের নির্দেশনা ও জরিমানা কার্যকরের তাগিদ দেন।

ব্যবসায়ী জামিল হোসেন জানান, মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে একধরণের ক্ষমতার দাপট দেখানোর প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এসব থেকে পরিত্রান পাওয়া দরকার। শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান জানান,অনেক চালকরা মনে করেন মোটরসাইকেল মানেই গতি। বেশি গতি উঠালে যে নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যায়,সেটা তাদের মাথায় থাকেনা।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার সামন্ত বলেন, বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই চেকপোষ্ট বসিয়ে এ সকল বখাটে ও লাইসেন্স বিহীন মোটরসাইকেল আটক করে মামলা দেয়া হচ্ছে। অধিকাংশ এ সকল হোন্ডা চালকরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। থানা পুলিশ এ সকল চালকদের বিরুদ্ধে আগের চাইতে আরো কঠোর অভিযান পরিচালনা করবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com