শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ জামাল হোসেন লিটন, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রামের নাম বালুমারা। পাশেই বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য রেমা-কালেঙ্গা। এ গ্রামের বেশীরভাগ জনগন চা বাগানের শ্রমিক, ক্ষুদ্র নৃতাত্তিক জনগোষ্টী। যারা চা বাগান ও পাহাড়ে কাজ করেন। তাদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার কথা চিন্তা করে ১৯৮২ সালে বালুমারা পাহাড়ী টিলার উপর একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যায় স্থাপন করেন স্থানীয় লোকজন।
মাত্র ৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও এখন ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ১৭৬ জন। এখন বালুমারা ছাড়াও আশপাশের ৪/৫ টি গ্রামের কোমলমতি শিশুরা আসে এ বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিক্ষকদের আন্তরিকতার জন্য বিদ্যালয়ে ছাত্রের সংখ্যা বছর বছর বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে সেটি সরকারিকরণ করা হয় ২০১৩ সালে। দীর্ঘ দিন বাঁশ ছনের ঘরে ছাত্র/ছাত্রীরা জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষা কার্যক্রম ছালিযে যাচ্ছেন।
উপজেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূড়ে বালুমারা গ্রামের বিদ্যালয়টিতে একটি পাঁকা ভবন এলাকার ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকদের র্দীঘ দিনের একটি স্বপ্ন ছিল। লোকজন বিষয়টি স্থানীয় এমপি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও র্পযটন মন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীর নজরে আনেন। পরে উনার প্রচেষ্টায় নতুন একটি ভবনের অনুমোদন হয়। ভবনটি র্নিমান করে চুনারুঘাট উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। নতুন ভবন পেয়ে খুশি ছাত্র/ছাত্রীরা।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা প্রকৌশলী মিশুক দত্ত বলেন, র্দুগম পাহাড়ি এ অঞ্চরে বিদ্যালয়ের ভবন র্নিমান করা সত্যিকার অর্থেই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যা উপজেলা শিক্ষা অফিস,বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সকলের প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ভবন র্নিমানের ফলে পাল্টে গেছে বিদ্যালয়ের চিত্র। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষিত আমার গ্রাম-আমার শহর বাস্তবায়নে সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে এলজিইডি সর্বদাই সচেষ্ট। বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক ছাদেক মিয়া বলেন, ভবন হলেও ছাত্র/ছাত্রীদের বসার আসবাবপত্রের ব্যবস্থা হয়নি। এ বিষয়ে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।