শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

ফেনীতে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

ফেনী প্রতিনিধি : ব্যক্তিগত চরিত্র হননের অভিযোগ তুলে অপ-প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোহাম্মদ উল্লাহ নামের ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। রবিবার বিকালে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রতিবাদ করেন।

এর আগে শনিবার ফেনীর একটি চাইনীজ রেস্টুরেন্টে প্রেসক্লাবের একা়ংশের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ উল্লাহ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগ তুলেন গৃহবধু সাজনীন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, দীর্ঘ দিন থেকে মোহাম্মদ উল্লাহ ও তার ভাইরা কর্মের কারণে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পৃথক স্থানে বসবাস করে আসছেন। ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারী তার ছোট ভাই বাহরাইন প্রবাসী মোশাররফ হোসেনের সাথে লেমুয়া ইউনিয়নের মধ্যম চাদপুর গ্রামের ইলিয়াছের মেয়ে সাজনীনের বিবাহ হয়। বিয়ের পর স্ত্রীসহ মোশাররফ বাহরাইন চলে যায়। সে খানে দীর্ঘ ৬ বছর আমার ভাইয়ের দাম্পত্য জীবনে তার স্ত্রী পর পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বাহরাইনে এ বিষয়ে সাজনীনের বাবা, ভাইসহ অন্যান্যদের পরামর্শ নিয়ে বৈঠক বসে বারবার তাকে সতর্ক করা হয়। কিন্তুু সাজনীন কিছুতেই সংশোধন হয়নি। ২০১৯ সালের ১৫ মে মোহাম্মদ উল্লাহর বাবা মারা যাওয়ার সময়ে স্বস্ত্রীক তার ছোট ভাই দেশে ফিরেন। আমার বাবার মৃত্যুর ৪ দিন পর কাউকে না বলে সাজনীন বাহরাইন চলে গেলে অন্যের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি সামনে চলে আসে। পরে আমার ভাই গত বছরের ১৪ জুন তার স্ত্রী সাজনীনের ঠিকানায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে তার সাথে সংসার করবেনা বলে তালাকনামা পাঠায়। এতে সাজনীন ক্ষুব্দ হয়ে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ঢাকায় পারিবারিক আদালতে আমার পরিবারের সদস্যদের নামে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় কোন ফল না পেয়ে সে ফেনীর পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ দেন। পুলিশ সুপার এ বিষয়ে উভয় পক্ষের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে তা খারিজ করেন। এরপর আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের হয়রানীর বিচার দাবী করে ফেনীর আদালতে সাজনীনসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করি। এতে সাজনীন ক্ষুব্দ হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কু-রুচিপূর্ণ বক্তব্য তৈরী করে ফেনীতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাতে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো: উল্লাহ জানান, আমার ভাই ও আমরা পৃথক স্থানে বসবাস করি। কোন আচার-অনুষ্ঠান ছাড়া আমাদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাত হয়না। আমার ভাই তার স্ত্রী সাজনীনের সাথে সংসার করবে কিনা এটি শুধুই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। সাজনীন তার সংসার টিকানোর জন্য আমাদের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালিয়ে আসছে বলে দাবী করেন মোহাম্মদ উল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে মো: উল্লাহর স্ত্রী সকিনা বেগম লাকি, ভাই আমিরুজ্জামান সোহাগ ও ছোট বোন নুরের নাহার সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com