শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

সিলেটে ৬৩৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে বেড়ে চলেছে প্রবাসী ও তাদের স্বজনদের সংখ্যা। করোনা সন্দেহে সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত ৬৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ৪২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ২১০ জন।

বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক ডা. দেবপদ রায়।

অধিদফতরের হিসাব মতে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেট জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৮৯ জন ছিলেন। তা বেড়ে হয়েছে ৪২১ জনে। মৌলভীবাজার ১১৩ জন ছিল হয়েছে ১৫১ জন। সুনামগঞ্জ ১৪ জন ছিল ২৪ ঘণ্টায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে এবং হবিগঞ্জে ৮ জনের স্থলে এখন ২২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, কোয়ারেন্টাইনে রাখা লোকজনের বেশিরভাগই প্রবাস ফেরত ও তাদের স্বজনরা।

তিনি বলেন, গত ১০ তারিখ থেকে তারা কোয়ারেন্টাইন শুরু করেছেন। তাদের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২৬ হাজার ১৯ জন প্রবাসী দেশে অবস্থান করছেন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন দেশ থেকে ঢাকা হয়ে ফিরেছেন ১৩০ জন এবং যুক্তরাজ্য থেকে ফিরেছেন ৬৭ জন। বিমানবন্দর ছাড়াও ভারত থেকে সিলেটের ৫ স্থল বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে তারা দেশে প্রবেশ করেছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্য থেকে ফেরা প্রায় এক হাজার ৯শ জন দেশে অবস্থানের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন তিনি।

ডা. আনিসুর রহমান আরো বলেন, এই মুহুর্তে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে কেউ নেই। যে ১১ জন ছিলেন, পরিক্ষায় তাদের করোনা নেগেটিভ ফলাফল আসায় বাড়ি ফিরেছেন।

কোয়ারেন্টাইনের সমীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় ইউএনও’র তত্ত্বাবধানে একটি করে, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে একটি করে কমিটি আছে। আর বিভাগীয় কমিশনারের তত্ত্বাবধানে বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি রয়েছে সার্বিক মনিটরিংয়ের জন্য। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওইসব কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যাটি নিশ্চিত হতে পেরেছেন। স্থানীয় প্রশাসন রিপোর্ট দেওয়ার পাশাপাশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের যুক্ত করে হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখছেন।

বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. দেবপদ রায় আরও বলেন, প্রবাসীদের যারা আক্রান্ত দেশ হয়ে দেশে আসছেন, তারাই আমাদের জন্য বিপদ। তারা যাতে বাইরে বের না হন, কারো সঙ্গে না মিশেন এজন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com